বাংলাহান্ট ডেস্ক : গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে শুন্য কোষাগার পূরণ করছে রাজ্য সরকার। গঙ্গাসাগরে যে পুণ্যার্থীরা ভেসেল করে এসেছেন তার ভাড়া বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ রোজগার করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরুদ্ধে।
তথ্য পেশ করে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ৩৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি করে দিয়েছে ভেসেলের ভাড়া। এর থেকে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত উপার্জন হয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন যেভাবে রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগরে আগত মানুষদের উপর বাড়তি ভাড়ার বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে, তাতে প্রমাণিত হয় যে দেউলিয়া হয়ে গেছে সরকার।
আরোও পড়ুন : জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত কর্মসূচিতে আসছেন না দেশের একমাত্র বাম মুখ্যমন্ত্রী! মুখ ফেরালেন নীতিশও
শুভেন্দু অধিকারী সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন নীতি হলো সাধারণ মানুষের ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে নিজের শূন্য কোষাগার ভর্তি করার চেষ্টা করা ! প্রতিদিন বড়ো বড়ো দাবি করা হচ্ছে যে কিভাবে রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য বিনামূল্যে সর্বাধিক সুবিধা প্রদান করছে, এবং এর জন্য সব খরচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার বহন করছে।
আরোও পড়ুন : নবনির্মিত রাম মন্দিরে আজ প্রবেশ করছেন রামলালা! প্রধানমন্ত্রী একবেলা খাবেন, শোবেন মেঝেতে
কিন্তু বাস্তবটা সম্পূর্ন ভিন্ন। মমতা সরকার গঙ্গাসাগর মেলাকে শূন্য কোষাগার ভরাটের এক পন্থা হিসেবে ব্যবহার করতে উদ্যোগী হয়েছে। পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে জলযানের যে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বা এককথায় বলা ভালো ভাড়া দিতে বাধ্য করা হচ্ছে তা স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। পবিত্র এই তীর্থক্ষেত্রে পুণ্যার্থীরা দুর দুরান্ত থেকে আসেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
তারা এই বাড়তি ভাড়া দিতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছেন, কারণ এ ছাড়া তাদের কাছে আর অন্য কোনো উপায় নেই।’ এরই সাথে শুভেন্দু অধিকারী পুরনো কথা মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের ওপর এই বোঝা চাপাতে আগেও দেখেছি আমরা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত টেট পরীক্ষার ফর্ম ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছিল রাজ্য সরকার, যেখানে ঠিক এক বছর আগে ২০২২ সালে ওই ফর্মের মূল্য ছিল ১০০ টাকা।”
তিনি সেই হিসেব দেখিয়ে উল্লেখ করেন, ” ৪০০ শতাংশ বর্ধিত দাম ৩,০৯,০৫৪ জন বেকার যুবক যুবতীর কাছ থেকে নিয়ে এই সরকার ১৫,৪৫,২৭,০০০ টাকা রাজ্যের কোষাগারে ঢুকিয়েছে। এই দেউলিয়া সরকার তার শূন্য কোষাগার ভরাতে প্রতিদিন এভাবেই সাধারণ জনগনকে লুঠ করছে।’