২৪ ঘণ্টায় ১০ টা খুন! পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ শুভেন্দু অধিকারীর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে বাংলার বুকে ঘটে চলেছে একের পর এক খুন এবং হিংসার ঘটনা। ফলে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের উপর আক্রমনাত্বক মনোভাব আপন করছে। রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করে ক্রমশ সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি দল। এদিন শুভেন্দু অধিকারী একটি টুইট করে রাজ্যের বেহাল দশার ছবি তুলে ধরেন।

টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “24 ঘণ্টায় 10 টা খুন পশ্চিমবঙ্গে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, এই বিবৃতি দেওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে আইন শৃঙ্খলা যে আদৌ আর নেই এটাই বাস্তব।” নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন পোস্টের সাথে একটি ভিডিও শেয়ার করেন এবং সেই ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গের বুকে ঘটা একের পর এক খুনের ঘটনা।

ভিডিওতে একাধিক ঘটনার মধ্যে প্রথমে উঠে আসে খাস কলকাতার বুকে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা। জানা যায়, নারকেলডাঙায় রেল কারশেড এর কাছে খালের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় শেখ শামিম নামের এক যুবকের মৃতদেহ। প্রথমে দেহ উদ্ধার করে পরে ময়নাতদন্ত করা হলে জানা যায় যে সেই যুবককে পিটিয়ে খুন করেছে কিছু লোক। এরপর অপর একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় রায়গঞ্জের বুকে ঘটা নৃশংস খুনের দৃশ্য। জানা যায়, রায়গঞ্জে এক যুবককে প্রকাশ্যে খুন করে কিছু মানুষ এবং এক্ষেত্রে দুই জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ভিডিওর পরবর্তী অংশে সকলের সামনে উঠে আসে মগরাহাট জোড়া খুন কাণ্ড, যেটি বর্তমানে গোটা রাজ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং তার বন্ধুকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়ম এবং পরে জানে আলম নামের এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে খবর। এছাড়াও আরামবাগ এলাকায় নাতির দ্বারা দাদুকে খুন করার একটি কান্ড সকলের সামনে উঠে আসায় চাঞ্চল্য ছড়ায় উক্ত এলাকায়।

এক বায়ুসেনা কর্মীর স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ ঘর থেকে উদ্ধার করার খবরও রয়েছে এই ভিডিওয়। এক্ষেত্রে ফাঁকা ঘরে রঞ্জনা দেবী নামক সেই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরে সামনে আসে পশ্চিম বর্ধমানের একটি ঘটনা যা নিয়ে গোটা এলাকাবাসী প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ বলে জানা যাচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল এলাকায় মনোজ নামের এক যুবকের দেহ তার নিজের বাড়ির ছাদে উদ্ধার করে এলাকার মানুষজন। ঘটনার সময় যুবকের চিৎকার শুনতে পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলে ভয়ে একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে যায় এবং পরবর্তীকালে তারা প্রতিবেশীদের ফোন করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে ছাদ থেকে মৃত যুবকের দেহ উদ্ধার করে। এক্ষেত্রে পুলিশি তদন্তের পর জানা গেছে, গলায় ভারী কিছু জিনিস দিয়ে হামলা করার কারণে মৃত্যু হয় সেই যুবকের।

ফলে একদিনে এত মৃত্যু কাণ্ড নিয়ে সরকারকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার বুকে হিংসা যে ক্রমশ বেড়েই চলেছে এবং সরকার এ সকল ঘটনা মোকাবিলা করতে যে ব্যর্থ, সে কথাই এদিন নিজের পোস্টে তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর