বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার কাকভোরে কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam) বালিগঞ্জের (Ballygunge) গরচায় একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার অফিসে হানা দিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি (ED)। প্রায় দশ ঘন্টা ধরে ধরে তল্লাশি অভিযান বিশেষ চালিয়ে এই বিপুল টাকা ইডি-র আধিকারিকদের নাগালে আসে।
ইডি সূত্রে দাবি, এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গেরেওয়ালের মাধ্যমে এই মোটা অংকের কালো টাকা সাদা করছিলেন। এবার বালিগঞ্জে টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে ছবি সমেত টুইট (Tweet) করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অভিযুক্তর সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তাঁর ভাই কার্তিকের সঙ্গে ছবি দিয়ে টুইট বিরোধী দলনেতার।
টুইট বাণে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাবও চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলনেতার বক্তব্য, অভিযুক্ত মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারের দায়িত্ব ছিলেন। তাঁর নাম এসেছে ইডির প্রেস রিলিজে। একেই হাতিয়ার করে বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, এই বিষয়ে কি জবাব দেবেন ও ব্যবস্থা নেবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী?
Manjit Singh Grewal @ Jitta; who handled @MamataOfficial's Bhabanipur Byelection campaign, has been named in @dir_ed's Press Release.
He can be seen alongside CM & her politician brother Kartik Banerjee.
Will CM clarify, like Partha Chatterjee, she'd also take action against him? pic.twitter.com/kx78xSoPEl— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) February 9, 2023
ইডি সূত্রে খবর, তাদের কাছে খবর ছিল, কয়লা পাচারের কালো টাকা এই নির্মাণ সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হচ্ছে। সেইমত তল্লাশি চলার পরই হাতে আসে বিপুর পরিমান টাকা। জানা গিয়েছে নগদ টাকার পাশপাশি ডিজিটাল এভিডেন্স এবং নথি উদ্ধার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রেই দাবি, ওই কালো টাকা দিয়ে এলাকায় একটি গেস্টহাউস কেনেন মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা।
গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কথায় ওই গেস্টহাউসটি কেনা হয়। পাশাপাশি প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর কালো টাকাও তিনি সামলাতেন বলে সূত্রের খবর। এদিন দুপুরেই ইডির তরফে প্রকাশিত এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সম্পত্তি বিক্রির টাকার কিছু অংশ রাখা হয়েছিল গজরাজ গ্রুপের দফতরে।
জানা গিয়েছে গেস্ট হাউজটি কেনেন এই গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম শিকারিয়ার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মনজিৎ গ্রেওয়াল। তদন্তকারীদের দাবি এই দুই ব্যক্তি রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। সেই প্রভাবশালীর কয়লাপাচারের কালো টাকা সাদা করতেই সাহায্য করছিলেন তারা। তদন্তে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর নথি ও ভিডিয়োও তাদের হাতে এসেছে বলে দাবি গোয়েন্দা সংস্থার।