বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ হাওড়ার ডুমুরজলার সভা থেকে তৃণমূলকে একহাতে নিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ার বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার বিজেপির যোগের পর হাওড়া জেলায় কার্যত ব্যাকফুটে ঘাসফুল শিবির। আর সেই সুবাদের আজ হাওড়া থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার সংকল্প নিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ডুমুরজলার মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা ফাঁকা করে দেব। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস কোম্পানি করার মতো কোনও লোক থাকবে না আর।” রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী।
মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘১৭ বছর আগে থেকে আমি আর রাজীব একসঙ্গে লড়াই শুরু করেছিলাম। আমাদের মধ্যে একটাই জিনিশ ছিল, আমরা বাংলার আর বাংলার মানুষের ভালোর জন্য কাজ একসঙ্গে কাজ করার সংকল্প নিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে বাংলার ভালো করার জন্য সমঝোতা হয়েছিল। আমি ১৯ ডিসেম্বর বিজেপিতে এসেছিলাম, আজ রাজীব এলো। আমাদের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের ছায়াসঙ্গী বাণী সিংহ রায় বিজেপিতে যোগ দেন। শুভেন্দু অধিকারী বাণী সিংহ রায়ের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল তৈরি হওয়ার লগ্ন থেকে মুকুল রায় যদি প্রথম জন হয়ে থাকেন, তাহলে দ্বিতীয়জন হলেন বাণীবাবু। আজ তিনিও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমাদে শ্রদ্ধেয় নেতাজি বলেছিলেন দিল্লী চলো আর তৃণমূল নেত্রী বলছেন দেশের চারটে রাজধানী করতে হবে। তিনি বাংলাদেশের জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছেন রাজ্যে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী না থাকলে আমরা কেউ পশ্চিমবঙ্গের অথবা ভারতের নাগরিক হতে পারতাম না।