বিধানসভায় সব্যসাচীর দলবদল! ‘শেষ দেখে ছাড়ব’, হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বৃহস্পতিবার শপথ পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সব্যসাচী দত্ত (sabyasachi dutta)। আলাপ আলচনার পর সেখানেই স্থির হয়, দলত্যাগী সব্যসাচী দত্তকে আবারও ঘরে ফেরাবে তৃণমূল। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। সেখানেই সাংবাদিক বৈঠক করে হাতে সবুজ শিবিরের পতাকা তুলে নিলেন সব্যসাচী দত্ত। আর এই বিষয় নিয়েই শুরু হল জোর বিতর্ক।

আচমকাই বিধানসভায় এভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টা একেবারেই ভালো ভাবে নেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। তৃণমূলরা বিধানসভার ঐতিহ্যকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে, স্পিকার চুপ করে রয়েছে- এমন ভাবে আক্রমণ করেন তিনি।

tmc bjp fb 4

শাসকদলের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় দুবছর আগেই দল ছেড়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। সেই দুবছর বিজেপির একজন সৈনিক হিসাবে কাজ করার পর, আবারও ঘরে ফিরলেন ঘরের ছেলে। বিধানসভা নির্বাচনের পর এরকম ঘটনা অনেক ঘটতেই দেখা যাচ্ছে। তাঁর মধ্যে নতুন নাম জুড়ল সব্যসাচী দত্তের।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই বৃহস্পতিবার বিধানসভা কক্ষেই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে হাতে তুলে নিলেন তৃণমূলের দলীয় পতকা। সব্যসাচী দত্ত ফিরে গেলেন নিজের পুরনো ঘরে। আর সব্যসাচী দত্তের এই দলে ফিরে যাওয়ার অনুষ্ঠানকে ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।

এবিষয়ে স্পিকার বলেছেন, ‘কিছুদিন আগে বিজেপি সভাপতি বিধানসভায় যেদিন এসেছিলেন, সেদিনও অনেক বাইরের লোক এখানে এসেছিলেন। এমনকি তাঁদের নামে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করারও অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের লিস্ট চেয়ে পাঠিয়েছি খতিয়ে দেখার জন্য। আর সব্যসাচী প্রাক্তন বিধায়ক হওয়ার দরুন এখানে আসতেই পারেন। তবে এখানে এসে হাতে পতাকা নিয়ে দল পরিবর্তনের বিষয়টা না করলেই ভালো হত’।

অন্যদিকে এই বিষয়ে নিয়ে বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছে বিরোধী দল। শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এই বিষয়ে বিধানসভার কাজকর্ম শুরু হলে বিধানসভার অভিভাবক স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দেব। প্রয়োজনে রাজ্যপালের কাছেও যাব এবং আদালতে গিয়ে জনস্বার্থ মামলাও করব। আমরা এর শেষ দেখে তবেই ছাড়ব’।


Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর