বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুকুলের দলবদল নিয়ে প্রথমে চুপ থাকলেও এখন ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হচ্ছেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কদিন আগে দিল্লী থেকে তিনি ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি এখন বিরোধী দলনেতা, তৃণমূল দল ভাঙিয়ে দেখাক।” ওনার এই চ্যালেঞ্জের দু’দিন পরেই দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় তৃণমূলে গিয়ে যোগ দিয়েছেন। শুধু যোগই দেননি, তিনি বিজেপির দল ভাঙানোরও চেষ্টা করছেন। আর এবার দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে ময়দানে নামছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আজ বিকেল চারটে নাগাদ প্রতিনিধি দল তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে সেখানে বিস্তর আলোচনা হতে পারে। শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে রাজ্যপালের কিছুই করার নেই। কারণ দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বিধানসভার স্পিকার। লোকসভা আর রাজ্যসভার স্পিকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারেন। রাজ্যপাল অথবা রাষ্ট্রপতি নন।
এখন প্রশ্ন উঠছে যে, তবে শুভেন্দু এই কর্মসূচি রাখছেন কেন? উনি যে মুকুলের দল ছাড়া আর তৃণমূলে গিয়ে বিজেপির বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা ভাল ভাবে নিচ্ছেন না, সেটা পরিস্কার। আর সেই কারণেই হয়ত রাজ্যপালের কাছে নালিশ নিয়ে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির নেতারা এখন চাইছেন এই বিষয় নিয়ে যাতে আরও বেশী চর্চা হয় আর সর্বভারতীয় স্তরে এর নিন্দা হয়।
মুকুলের বিজেপি ত্যাগের পর মেদিনীপুরে সাংগঠনিক বৈঠকে গিয়ে মুকুল রায় আর মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে একহাতে নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, দল ভাঙানো মাননীয়ার স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বারবার দল ছাড়া রায়সাহেবের স্বভাব। মাননীয়া রাজ্যে বিরোধী শক্তিকে রাখতেই চান না। তবে আমরাও ছাড়ব না। দলত্যাগ বিরোধী আইন কীভাবে কার্যকর করতে হয় দেখিয়ে দেব।