বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দলের বিধায়কের কারণেই এবার চাপে বিজেপি! কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন সৌমেন রায়। যদিও এরপর ‘ফুলবদলে’র সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিছু সময়ের মধ্যে তৃণমূল ছেড়ে ফের পদ্ম শিবিরে প্রত্যাবর্তন করেন। এদিকে আগেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে সৌমেনের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য অধ্যক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার সেই আবেদন প্রত্যাহারের পাল্টা আবেদন জানালেন তিনি।
অধ্যক্ষকে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তৃণমূল ছেড়ে ফের বিজেপিতে প্রত্যাবর্তন করেছেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক। তার আগেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। তবে তিনি আবার দলে ফেরায় সেই আর্জি প্রত্যাহারের পাল্টা আবেদন জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বিধায়ক পদ খারিজের এই আবেদন নিয়ে বেশ কয়েকটি শুনানি হয়েছিল। তবে সৌমেন ফের BJP-তে ফিরে আসার পরেই অধ্যক্ষের কাছে ফের চিঠি লেখেছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, তিনি আর এই মামলা চালাতে ইচ্ছুক নন। সেই কারণে সৌমেনের বিধায়ক পদ খারিজের যে আবেদন তিনি করেছিলেন সেটা প্রত্যাহার করা হোক।
আরও পড়ুনঃ শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি কর্মীদের জন্যও ‘সুখবর’! কেন্দ্রের এই উদ্যোগে খুশির হাওয়া দেশে
এই নিয়ে সোমবার আইনজীবীর সঙ্গে অধ্যক্ষের বৈঠক হয় বলে খবর। আগামী ৩ আগস্ট ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, অতীতেও বহুবার বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে চিঠি লেখার ঘটনা বিধানসভায় বহুবার ঘটেছে। তবে আবেদন জানিয়ে তা ফের প্রত্যাহারের আর্জির এই ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।
এদিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগের ভিত্তিতে দলত্যাগ বিরোধী আইনে রাজ্যের তিনজন বিধায়কের বিরুদ্ধে শুনানি চলছিল। তাঁদের মধ্যে কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাস দু’জনেই লোকসভা ভোটের আগে পদত্যাগ করে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন। দু’জনেই পরাজিত হন। সম্প্রতি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীকে রায়গঞ্জ থেকে জয়ী হয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। বর্তমানে শুধুমাত্র BJP-র প্রতীকে জয়ী তন্ময় ঘোষের বিরুদ্ধে শুনানি চলছে।