বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। তার আগে সভা-জনসভায় মেতে উঠেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। শাসক থেকে বিরোধী সকলেরই প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই আবহেই মঙ্গলবার সিঙ্গুরের (Singur) বড়া হাওয়াখানা এলাকায় এক জনসভা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সভা থেকেই নানা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
প্রসঙ্গত, গতকাল সিঙ্গুরের সভা থেকে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অমিত শাহকে চার বার ফোন করেছেন। ফোনে অনুরোধও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে। প্রকাশ্য সভায় বিরোধী দলনেতার মুখে এই দাবি শুনে শোরগোল পরে যায় রাজনৈতিক মহলে। শুরু হয় জোর চৰ্চা।
সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানো নিয়ে মমতাকে খোঁচা মারেন শুভেন্দু। বলেন, ‘সর্বভারতীয় তকমা চলে যাওয়ার পর অমিত শাকে চারবার ফোন করেছেন উনি, আমার ২০২৪ অবধি রাষ্ট্রীয় তকমাটা রেখে দিলে হয় না, অমিত শাহ বলেছেন না হয় না। আমাদের নির্বাচন কমিশন আপনাদের মত নয় তো। আপনি তো ভোট পাননি থাকবেন কি করে।’
গতকাল চুপচাপ থাকলেও আজ এই নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, “এই দাবি মিথ্যে। ষোল আনার উপর আঠারো আনা মিথ্যে কথা। মানুষের মনে তৃণমূল সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করতে এই সব মিথ্যা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই মিথ্যা ছড়ানোর জন্য কারও বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা হবে না। আর আমি ফোন করেছি প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।”
জোর গলায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল ছিল, সেটাই থাকবে। বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে যা ইচ্ছা করাক। আমরা মানুষের কাছে গিয়ে ইনসাফ চাইব। তৃণমূল কংগ্রেসের কজন সাংসদ, বিধায়ক রয়েছে দেখুন। এত সাংসদ, বিধায়ক কটা রাজনৈতিক দলের রয়েছে?”
মমতা বলেন, “কোন কোন পার্টি জাতীয় দলে মর্যাদা পাবে তা নিয়ে ২০১৬ সালে রিভিউ হয়েছিল। তার দশ বছর বাদে আবার রিভিউ হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করে এখনই রিভিউ হল কেন? যখন বি আর আম্বেদকর যখন সংবিধানের রচনা করেছিলেন। তখন আঞ্চলিক দলের ধারণা ছিল না। কিন্তু পরবর্তীকালে মানুষের আকাঙ্খা আগ্রহকে মর্যাদা দিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিজেপি এসব বোঝে না। কারণ, সংবিধান রচনায় তাদের কোনও ভূমিকা ছিল না। যা মর্জি হচ্ছে ওরা তাই করতে চাইছে।”