বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনা নিয়ে চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে উত্তাল গোটা বাংলা। শুধু বাংলাই নয় এই ঘটনার আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। শুক্রবার এই মামলায় শিয়ালদা আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। ঘটনার ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও সিবিআই চার্জশিট দিতে না পারার কারণে জামিন মঞ্জুর হয়েছে দুজনারই। মূলত সিবিআইয়ের ব্যর্থতার কারণে মুক্ত হতে পেরেছেন এই দুজনে। ‘অভিযুক্তরা’ জামিন পেলেও হাল ছাড়েনি নির্যাতিতার পরিবার। মেয়ের বিচার ছিনিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। আর এবার তাদের এই লড়াইয়ে পাশে থাকার বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
আর জি কর (R G Kar Hospital) কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দু অধিকারীর:
সম্প্রতি এই নিয়ে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, “অভয়ার পরিবারকে তিনটি কোর্টে বিরোধী দলনেতা হিসাবে সম্পূর্ণ সহযোগিতা আমি করছি। ব্যাঙ্কশাল কোর্ট, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে তিনটি স্ট্রং লইয়ারের টিম সেট আপ করা হয়েছে।” এই মুহুর্তে অভয়ার বাবা-মায়ের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আইনি লড়াইয়ের সহযোগিতা। আর ঠিক সেই সহযোগিতার হাতই বাড়িয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আর জি করের (R G Kar Hospital) চিকিৎসকের ন্যায় বিচারে যেনো বিন্দুমাত্র ত্রুটি না থেকে সেইজন্যই পাশে দাঁড়ানো।
তিনি আরো বলেন, “অভয়ার মা-বাবা যেরকম সহযোগিতা আমার থেকে চেয়েছেন, আমি তা করছি। অভয়ার পরিবার আইনি লড়াই লড়তে চান। আমি তাদের চাহিদা মত সহযোগিতা করছি। এই লড়াইটা আমরা লড়ব।” এই মন্তব্য থেকে এ কথা স্পষ্ট তিনি সামনে থেকে এই লড়াই করবেন। যদিও সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন পাওয়ার আগেই তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে এই বার্তা জানিয়েছিলেন। আরো একবার তার মুখ থেকে একই বার্তা শোনা গেল।
যদিও আর জি কর (R G Kar Hospital) কাণ্ডে দুই মূল হোতা ছাড়া পাওয়ার পর থেকে রাজ্য রাজনীতি রীতিমতো উত্তপ্ত।
আরও পড়ুনঃ অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের পরের বছরই… ঐশ্বর্যকে এক রাতের জন্য পেতে কী করেছিলেন রাষ্ট্রপতি!
প্রসঙ্গত, শুক্রবারের পর থেকে ফের জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। মাঝে সুপ্রিম কোর্টের উপর আস্থা রেখে আন্দোলন কিছুটা শান্ত হয়েছিল। কিন্তু এমন ঘটনার পর ফের আন্দোলনের ঝাঁঝ বেড়েছে। দেবাশীষ হালদার, কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাতোর মতো জুনিয়র ডাক্তাররা আবারো রাস্তায় নেমেছেন। তবে অনেকেই এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলন, মাইনে বাড়ানোর আন্দোলন বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এতে করে যে সহজে জুনিয়র ডাক্তারদের দমিয়ে দেওয়া যাবে না, সেকথা বারংবার প্রমাণ করে দিয়েছেন। তবে আর জি করের (R G Kar Hospital) নির্যাতিতা সুবিচার কবে পাবে সেটা এখনো প্রশ্নের মুখে!