বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। যাঁরা ভোট দিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়েছেন তাঁদেরকেও বিঁধতে ছাড়লেন না শুভেন্দু।
এদিন বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গনে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনলাম বাচ্চা একটি মেয়ে মারা গেছে। সেটা আপনি রেপ বলবেন, নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন নাকি শরীরটা খারাপ বলবেন?… আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটা খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটার লাভ অ্যাফেয়ার ছিল।’
এরপরই ডিজির কাছে জানতে চান মমতা তিনি ঠিক বলছেন কি না, এরপর আরও বলেন, ‘মেয়েটি মারা গেছে ৫ তারিখ। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখ। পুলিশ কীকরে তদন্ত করবে? কী করে বোঝা যাবে মেয়েটি রেপ হয়েছে নাকি প্রেগনেন্ট ছিল নাকি ধরে মারা হয়েছে নাকি শরীরটা খারাপ ছিল? কাউকে কিছু না বলেই দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হল, পুলিশকে জানানো হল না। এবার পুলিশ তদন্ত করবে কী করে?’ মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি,’ এটা ইউপি নয় যে লাভ জিহাদ নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করব। কেউ কারও সঙ্গে প্রেম করলে তা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়।’
সেই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেই মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, ‘যাঁরা এই মুখ্যমন্ত্রীকে আনার জন্য ভোট জিয়েছেন তাঁরা একটু বিচার করুন। যাঁরা তথাকথিত বাঙালি, তাঁরা এর বিচার করুন যে কাকে বসিয়েছেন? মুখের ভাষা কী!’
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘ এই মুখ্যমন্ত্রীর আগে ভাল কোম্পানির ফিনাইল আর ব্লিচিং দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করা উচিত। আনিস খানের মৃত্যু, ঝালদার কাউন্সিলরের মৃত্যু, রামপুরহাটে সংখ্যালঘু মহিলা শিশুদের মৃত্যু, এগুলো সব ইঁদুর? এ যাবৎকালে পশ্চিমবঙ্গে যত ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে হাঁসখালির ঘটনা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর।’
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজ্য জুড়ে। এহেন স্পর্শকাতর ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে নিন্দায় সরব বঙ্গবাসী। উল্লেখ্য, হাঁসখালি কাণ্ডে আজই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে বিজেপি।