মুখ্যসচিব কি এমন জানেন যে, স্বর্গ-মর্ত এক করে তাকে রক্ষা করা হচ্ছে? আলাপন ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের প্রথম মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত এখন চরমে উঠেছে। কলাইকুন্ডা প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সেই রাতেই দিল্লিতে কাজে যোগদান করার জন্য ডেকে পাঠানো হয় আলাপনকে। কিন্তু এই করোনা কালে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়তে চায়নি রাজ্য। এমনকি সোমবার ১০ টার আগে এ বিষয়ে দিল্লিকে কড়া চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও দিল্লি তরফ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার নর্থ ব্লকে রিপোর্ট করতেই হবে আলাপনকে। এর পরেই নিজের দায়িত্ব থেকে অবসর নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীও তাকে নিজের মুখ্য উপদেষ্টা পদে বসান। কিন্তু আলাপনকে নিয়ে জটিলতা এখনি থামছে না। ইতিমধ্যেই তাকে শোকজ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। Suvendu Adhikari attacks mamata banerjee, about cyclone yaas

 

আর এবার তাকে নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়ক এদিন পরপর চারটি টুইট করেন এই বিষয়ে। প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, বাংলায় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যা চলছে তা একটি জঘন্য নাটক। অন্য একটি টুইটে তিনি লেখেন, “বিদায়ী মুখ্য সচিব এমন কী গোপন খবর জানেন যে, তাঁকে আড়াল করতে স্বর্গ-মর্ত্য তোলাপাড় করা হচ্ছে?

সাথে সাথে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ‘অবিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, তার ইগোর জেরেই দেশের ফেডারেল স্ট্রাকচার সম্পূর্ণ ধ্বংস হতে বসেছে। তার অহমিকার জন্যই তিনি নিয়ম ভঙ্গকারি একজন মুখ্য সচিবকে রক্ষা করে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের আবহাওয়া বিঘ্নিত হচ্ছে দিদির এই আচরণে।

একইসঙ্গে এদিন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাস্তিরও দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, “আমার দাবি, এইরকম একটি মহামারী এবং বিপর্যয়ের সময়ে চাকরির নিয়ম অমান্য করার জন্য মুখ্য সচিবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শুধুমাত্র কিছু হীন রাজনৈতিক  উদ্দেশ্য সিদ্ধ করার লক্ষ্যে তাঁর অন্যকে সাহায্য না-করার এই আচরণের নিন্দা জানাই।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মুখ রক্ষা করতে ব্যর্থ। তার মতে কর প্রদানকারী জনতার টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তারা। সে কথা উল্লেখ করে অপর একটি টুইটে তিনি লেখেন,”করদাতার টাকা লুট করা টিএমসির সবথেকে পছন্দের হবি। না হলে এভাবে প্রতিমাসে আড়াই লাখ টাকার আরামদায়ক বেতনে একজন মুখ্য সচিবকে তার ‘অ্যাডভাইজার’ পদে বসান! করদাতাদের কষ্টার্জিত টাকা আরো অনেক ভালোভাবে ব্যবহার করা যেত।”

সম্পর্কিত খবর

X