বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকালই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করেছে বাংলা অ্যাকাডেমি। মুখ্যমন্ত্রীর নিরলস সাহিত্যচর্চার জন্য তাঁকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে বিশেষ সাহিত্য পুরষ্কারে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পুরষ্কার প্রাপ্তীর পর থেকেই তুমুল বিতর্ক রাজ্য জুড়ে। এবার এই পুরষ্কার প্রাপ্তীকে কেন্দ্র করে সরাসরি মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে রীতিমতো তোপ দাগলেন তিনি। মমতার লেখাকে শুধু অবান্তর বলে কটাক্ষই নয়, লেখাগুলি আসলে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের নয় বলেও দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আপাং-ঝপাং-বাপাং, হাম্বা-সাম্বা-গাম্বা লিখে এই পুরস্কার পেয়েছেন। তবে এটা কে লেখে আমি জানি। আমিও ওর ভিতরেই ছিলাম। আসলে রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন এই পুরস্কার বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতির অপমান। প্রভাব খাটিয়ে এই পুরস্কার তিনি অন্য দিনও নিতে পারতেন।’ স্বভাবতই তাঁর এহেন কটাক্ষ এবং দাবিতে আর এক দফা বিতর্ক এবং শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে।
উল্লেখ্য, নিজের সমস্ত ব্যস্ততা সামলেও নিরলস ভাবে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা এবং একের পর এক বই লিখে যাওয়ার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির এই বিশেষ পুরষ্কার পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ২৫ বৈশাখ উপলক্ষে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আয়োজিত কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে তাঁর লেখা ‘কবিতা বিতান’ বইটির জন্যই বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি যাঁরা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন, তাঁদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা আকাদেমি। সম্মানীয় সকল লেখকের সর্বসম্মতিতে প্রথম বর্ষে সেই পুরস্কার পাচ্ছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা সবাই মিলে তাঁর নামই স্থির করেছেন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরষ্কার প্রাপ্তীকে ঘিরে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বাংলা অ্যাকাডেমি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে তা বলাই বাহুল্য।