বাংলাহান্ট ডেস্ক : অশনির অশনিসংকেত রাজ্য জুড়ে। একাধিক সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। আর এহেন বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে বিরোধ ভুলে সরকার এবং প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করারই বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট দাবি, এহেন দুর্যোগের পরিস্থিতি রাজনীতি করার সময় নয়। সরকার প্রশাসনের সিদ্ধানে বিজেপি কর্মীরা সহায়তা করবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
রবিবারই এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এগুলোতে রাজনীতির জায়গা নেই। এখানে সরকার, প্রশাসন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট যে ব্যবস্থা নেবে, তাতে বিজেপির কর্মীরা এবং জনগণ সাহায্য করবে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমাদের কিছু নিজস্ব শেল্টার রয়েছে। আমফান, যশের সময় আমরা শেল্টার চালিয়েছি। সেখানে আমরা শেল্টার খুলব। শুকনো খাবার রাখব, রান্না করা খাবার দেব, জেনারেটর থাকবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে কোনও রাজনীতি করা উচিত নয়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল বিকেল পাঁচটা নাগাদ অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি। বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করলেও ক্রমাগত এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। আগামী ১০ তারিখ নাগাদ ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের খুব কাছাকাছি আসবে ঝড়টি। সরাসরি ল্যাণ্ডফল করবে না অশনি এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বদলে উপকূলের খুব কাছ দিয়েই সমান্তরাল ভাবে বয়ে যাবে সেটি। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
অশনির প্রভাব সরাসরি বাংলায় পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে এর প্রভাবেই ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে রাজ্য জুড়ে। সোমবার থেকেই কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার অবধি ভারী বৃষ্টি চলবে কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে। সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই মৎসজীবিদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ১০ মে থেকে সমুদ্র যাত্রাতেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে উপকূলীয় অঞ্চলে পর্যটকদের যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। দিঘা,মন্দারমনি, তাজপুর প্রভৃতি সৈকত থেকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের।