বাংলা হান্ট ডেস্ক : সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলির পোশাক তৈরি নিয়ে টুইটারে সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই পোশাক তৈরিতে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি, ‘নির্ভরগোষ্ঠী সদস্যাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে স্কুলে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পোশাকের (uniform) মাপ নিতে আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে নিজের পছন্দের কোনও সংস্থার মাধ্যমে আগে থেকে ঠিক করা নিম্নমানের পূর্ব নির্ধারিত গড় মাপের কাপড় কাট মানির বিনিময়ে সরবরাহ করার পরিকল্পনা করে বসে রয়েছে।’
বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবও দেয় তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, বাংলাকে বদনাম করার জন্য শুভেন্দু অধিকারী মাঝেমধ্যেই এ ধরনের বহু অভিযোগ করে থাকেন। তিনি ‘রাজনৈতিক দৈন্যতা’য় ভুগছেন বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
নন্দীগ্রামের সাংসদের দাবি, স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা যে মাপ নিতে যাবেন, সেটা একেবারেই ‘আইওয়াশ’। তাঁর ব্যাখ্যা, ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত ইউনিফর্ম তৈরি হয়ে রয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, মাপ নিতে যাবেন স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা। এরপর যখন পোশাকের মাপ ছোট-বড় হবে, তখন পুরো দায় ঠেলা হবে স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের উপর।
শুভেন্দুর বলেন, ইউনিফর্ম তৈরি হয়েছে গড় মাপে। এই মাপ নেওয়া লোক দেখানো। একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘গত বছরের সেলাইয়ের কাজের পুরো পাওনা নাকি এখনও স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের মেটানো হয়নি। তার উপর নতুন ঝামেলার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে তাদের।’
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘টাকা নিয়ে জেল খাটার ভয়ে বিজেপিতে গিয়ে এখন ওঁর রাজনৈতিক দৈন্যতা চরমে পৌঁছেছে। মনে হচ্ছে, আগামিদিনে তাঁকে মাছ বাজার বা কলতলায় ঘুরে বেড়াতে হবে। কোথায় কী পাবেন, তা নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরোধিতা করবেন বলে। বুথ পর্যায়ের কোনও কর্মীও এমন রাজনীতি করেন না। বাংলার মানুষের হয়ে কাজ না করে উনি এখন বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষী হয়ে উঠেছেন। প্রতি মুহুর্তে তাঁর একটাই লক্ষ্য এখন, বাংলার বদনাম করা।’