বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিজেপি ত্যাগের খবর চাউর হতেই সর্বপ্রথম মুখ খুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। তিনি মুকুল রায়কে সরাসরি মিরাজাফর-গদ্দার বলে আক্রমণ করেন। এরপর বিজেপির সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপির নেতারাও মুকুল রায়কে একের পর এক আক্রমণ করে যান। তবে সবাই নিজের মন্তব্য পেশ করলেও মুখ খোলেননি শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে এবার তিনি নীরবতা ভাঙলেন।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তিনি সদ্য দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও ব্যক্তি নির্ভর দল নয়। আমাদের দল সংগঠনের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। কোনও একজন চলে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।”
কিছুদিন আগে দিল্লী থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলেন, ‘তৃণমূল এই দল ভাঙানোর খেলা শুরু করেছিল। এখন রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি দল ভাঙিয়ে দেখান। দলত্যাগ-বিরোধী আইন কীভাবে কাজে লাগাতে হয়, সেটা আমার জানা আছে।” কিন্তু ওনার এই চ্যালেঞ্জের পরেও দলে বড়সড় ভাঙন দেখা গেল। শুধু বিধায়কই নন, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি অন্য দলে যোগ দেন।
মুকুলের বিজেপি ত্যাগের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘এটা ওনার দীর্ঘদিনের রোগ। উনি রাজ্যে কোনও বিরোধী শক্তি রাখতে চান না।” শুভেন্দু এদিন আবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে দলত্যাগী বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান।
শুভেন্দু তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, ‘২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সাল থেকে দল ভাঙানোর খেলা খেলছেন তিনি। বিরোধী দলের একের পর এক নেতা-বিধায়ককে দলে টেনে নিজ রাজত্বে বিরোধী শক্তি শেষ করার খেলায় মাতেন তিনি। এর আগে সিপিএম-কংগ্রেসকে ভাঙত। এখন বিজেপিকে ভাঙছে।” শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগীদের প্রসঙ্গে বলেন, ‘কে কোথায় যাবে আর না যাবে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তবে দলত্যাগ আইন মেনে যা করার করতে হবে।”