বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত বেশ কয়েক দিন ধরে একাধিক ইস্যুতে তোলপাড় বিধানসভা। এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ আনতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ককে।
এদিন বিধানসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই সময়ই গোলযোগের অভিযোগ এনে সোচ্চার হন চার বিজেপি ত্যাগী বিধায়ক। এই চার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘বিধানসভার কাজ কর্ম রীতিনীতি মেনেই হওয়া উচিত। কোনটা হই হট্টগোলের প্রয়োজন নেই।’ এরপরেরই রীতিমতো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে ওই চার দলবদলু তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় গেরুয়া শিবির।
এদিনও বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। সেই সময়ই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কার্যতই বিস্ফোরক হুমকির অভিযোগ আনেন তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর অভিযোগ, “যখন বিজেপি ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যাচ্ছে তখব শুভেন্দু অধিকারী আমাকে বলেন, কালকেই আপনার ওখানে ইনকাম ট্যাক্সকে পাঠাচ্ছি। দেখাচ্ছি মজা।’ এই পুরো বিষয়টি নিয়ে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানান ওই বিধায়ক। তারপরই ঘটনাটি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। অভিযোগ ওঠে বাকি চার বিধায়ককেও হুমকি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
এদিন শুভেন্দুকে সরাসরি আক্রমণ চালিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যিনি ওই কথা বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে যেন প্রিভিলেজ মোশন আনা হয়। তাহলেই বুঝুন। কে আয়কর দপ্তর চালায়, কে ই বা সিবিআই চালায়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন সিবিআই থেকে শুরু করে কেন্দ্র সবাইকেই একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে ক্ষমতায় আছে বলে কায়দা করে ফায়দা তুলতে চাইছে। আমরা এখন তো আর কেউ দিল্লির বিরুদ্ধে কিছু বলতেও পারি না। বিজেপি সব বন্ধ করে দিচ্ছে। কথা বলাও বন্ধ করে দিতে চাইছে।’ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হুঙ্কারও ছেড়েছেন তিনি। ‘পেগাশাস করতে যাবেন না। আমার কাছেও এসেছিল তিন বছর আগে পেগাসাস বিক্রি করতে৷ কিন্তু আমি কিনিনি। কারণ মানুষকে তো তাদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।’ সমস্ত ইস্যুকে কেন্দ্র করে সে সরগরম বিধানসভা তা বলাই বাহুল্য।