বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলাপন ইস্যুতে এখন কেন্দ্র-রাজ্য সংঘর্ষ চরমে। একদিকে যেমন বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের সাহায্য নিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ করেছে কেন্দ্র। অন্যদিকে তেমনি লাগাতার এর বিরোধিতা করে আসছে রাজ্য সরকারও৷ ইতিমধ্যেই মমতা কড়া ভাষায় চিঠি লিখেছেন প্রত্যুত্তরে সেই চিঠি খারিজ করেছে কেন্দ্র। আজ এই বিষয়ে প্রথমবার মুখ খোলেন তৃণমূলের যুব সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা পাথরপ্রতিমায় ইয়াসে বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছিলেন তিনি।
সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আলাপন বিষয়ে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “‘উনি বাংলার মানুষের জন্য কাজ করছিলেন। যিনি কাজ করছিলেন তাঁকে কেন শো-কজ! প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই আইন প্রয়োগ হোক।” শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রীকে একযোগে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “যখন সকলকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী সভা করছেন। ভিড় দেখে বলেছেন বাহ।” আর তাই তাদের বিরুদ্ধেও বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা উচিত বলেই মনে করেছেন তিনি।
এবার এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথমবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে রাজভবনেও যান তিনি। বেশ কিছুক্ষণ রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা সেরে বেরোনোর পর তিনি বলেন, “অভিষেক রাজনীতিতে এখনো নাবালক। নাবালক নেতার কথার কোন উত্তর দেব না।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে এদিনও সুর চড়াতে তিনি তার মতে, “আলাপন ও তৃণমূল একই কথা বলছে। আসলে আলাপনকে আড়াল করার চেষ্টা করছে রাজ্য।”
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও রাজ্যে এখনও চালু হয়নি সিকিউরিটি কমিশন। মহিলারা অত্যাচারিত হচ্ছেন বলে বলেও এদিন দাবি করেন শুভেন্দু। তার প্রশ্ন,”সুপ্রিম কোর্ট এবং অন্ধ্র হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও রাজ্যে এখনও সিকিউরিটি কমিশন চালু হয়নি কেন?” সব মিলিয়ে বাকবিতণ্ডায় ফের একবার উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।