বাংলাহান্ট ডেস্ক: খাতায় কলমে বাংলা সেরার তকমা হাতছাড়া হলেও এখনো পর্যন্ত সিংহভাগ দর্শকদেরই সবথেকে প্রিয় সিরিয়াল ‘মিঠাই’ (Mithai)। সাধারণত পুরনো হয়ে গেলে সিরিয়ালের ক্রেজও কমতে থাকে। একঘেয়েমি লাগতে থাকে দর্শকদের। প্রভাব পড়ে টিআরপিতে। কিন্তু মিঠাই এইখানেই স্পেশ্যাল। এমন কোনো কিছুই হয়নি মিঠাইয়ের সঙ্গে। এই সিরিয়াল আগেও যেমন জনপ্রিয় ছিল এখনো তেমনি আছে।
সিড মিঠাই তো বটেই, এই সিরিয়ালের অন্যতম আকর্ষণ মোদক পরিবার। আর এই যৌথ পরিবারের মাথায় ছাতার মতো রয়েছেন দাদাই আর ঠাম্মি। এই দুই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী এবং স্বাগতা বসু (Swagata Basu)। টলিউডের অনেক সিনিয়র সদস্য দুজনে।
সিরিয়ালে ঠাম্মিকে একটু পুরনো দিনের মানুষের মতো দেখালেও বাস্তব জীবনে অভিনেত্রী স্বাগতা বসু বেশ মডার্ন। অবশ্য পর্দাতেও গল্পের খাতিরে মডার্ন সাজে ধরা দিয়েছেন তিনি। মিঠাইয়ের মিষ্টি ঠাম্মি দর্শকদের চোখের মণি। আর তিনি সৌমিতৃষা কুণ্ডুরও খুব ঘনিষ্ঠ। অভিনয় নিয়ে খুঁটিনাটি পরামর্শ তো দেনই, পাশাপাশি একসঙ্গে আড্ডাও মারতে দেখা যায় দুজনকে।
তাই ঠাম্মি যে মিঠাই রানীর অনেক গোপন কথাও জানবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সৌমিতৃষা এবং আদৃতের ব্যাপারে কিছু তথ্য ফাঁস করেছেন স্বাগতা বসু। পর্দার মিঠাইকে তো সকলেই চিনি। তাঁর কাণ্ডকারখানার সঙ্গেও সকলে পরিচিত। কিন্তু সৌমিতৃষা ক্যামেরার বাইরে কেমন?
অভিনেত্রী স্বাগতা বসু জানান, সৌমিতৃষা বাস্তবেও অনেকটা মিঠাইয়ের মতোই। এমন গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে অভিনয়ের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েও মনের দিক থেকে একদম ছেলেমানুষ তিনি। সেটে একদম বাচ্চাদের মতো কাজকর্ম করেন তিনি।
একটা উদাহরণ দিয়ে প্রবীণ অভিনেত্রী বলেন, সৌমিতৃষাকে সেটে যদি কেউ মাছ ভাত বা ফল, মিষ্টি খেতে বলে তাহলে তিনি খেতে পারেন না। কিন্তু তাঁকে যদি কেউ খাইয়ে দেন তাহলে তিনি খেয়ে নেন। পাশাপাশি স্বাগতা বসু এও জানান, সিরিয়ালের মতো বাস্তবেও সৌমিতৃষা আর আদৃত তাঁকে আর বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীকে দাদাই ঠাম্মির মতোই মান মর্যদা দেন।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর দিয়ে ভেসে চলছে বিমান, তরুণীর ভিডিও দেখে হতবাক নেটমাধ্যম!