বাংলাহান্ট ডেস্ক: কেকের (KK) মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে কলকাতাকে। উপরন্তু গায়কের মৃত্যুর ঠিক আগে আগে বাঙালি শিল্পীদের নিয়ে বিতর্ক গায়ক গায়িকাদের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছে। যাঁরা ওই বিতর্ক থেকে শত হাত দূরে ছিলেন তাঁরাও অপমানিত হচ্ছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। সম্প্রতি এক বিয়েবাড়িতে শিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তকে (Swagatalakshmi Dasgupta) অপমান করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যাচ্ছে, অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে এক বিয়েবাড়িতে। সেখানে স্বনামধন্য শিল্পী স্বাগতালক্ষ্মীকে দেখে কুরুচিকর মন্তব্য করেন এক মহিলা। গত বুধবার স্বর্ণাশিষ মুখোপাধ্যায়ের বউভাতে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। নিমন্ত্রণ রক্ষা করে নাগেরবাজারের বিয়েবাড়িতে পৌঁছান স্বাগতালক্ষ্মী।
তাঁকে দেখেই অনুরাগীরা মাতামাতি শুরু করে দেন। প্রিয় শিল্পীকে একবার ছুঁয়ে দেখার, তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন ভক্তরা। আর তাতেই নাকি ক্ষেপে যান নববধূর মা। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, শিল্পীর দিকে রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে তিনি চিৎকার করে ওঠেন, “হু ইজ স্বাগতালক্ষ্মী? বেরিয়ে যান এখান থেকে!”
অপমানের মাত্রা বাড়াতে না চেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই বিয়েবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান স্বাগতালক্ষ্মী। এই ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিল্পীর অনুরাগী এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। চোখের সামনে স্বাগতালক্ষ্মীকে অপমানিত হতে দেখে অনেকেই পুলিসে অভিযোগ জানাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু তাদের শান্ত করেন শিল্পী নিজেই।
অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং খ্যাতনামা শিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত। গীতবিতানের সবকটি গান তাঁর গাওয়া। বিশ্বরেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এমন একজন শিল্পীকে এভাবে অপমানিত হতে হল! মানতেই পারছেন না তাঁর অনুরাগীরা। গায়িকাও বলেন, ঘটনাটা সত্যিই দুঃখজনক। মহিলা বয়সে প্রবীণ। তাই এটাকে বালখিল্য ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
রূপঙ্কর তাচ্ছিল্য ভরে প্রশ্ন করেছিলেন, “হু ইজ কেকে?” আর তারপরেই স্বাগতালক্ষ্মীকে শুনতে হল তিনি কে? প্রথম ঘটনারই কি প্রভাব? গায়িকার মতে, হতেও পারে। তিনি রূপঙ্করের গান পছন্দ করেন। কিন্তু যে মন্তব্যটা তিনি করেছেন সেটা সমর্থন করেন না। ওই ভিডিওটা করে নিজের পায়েই কুড়ুল মেরেছেন রূপঙ্কর। সেই সঙ্গে অপমান ডেকে এনেছেন অন্য বাঙালি শিল্পীদের।