বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রতিটি মানুষের জীবনেরই একটা অংশ জুড়ে রয়েছে বিনোদন। কারোর বেশি কারোর কম। আর বিনোদন মানেই অনেকে বোঝেন সিনেমা। ভারতীয় চলচ্চিত্র বহু যুগ ধরে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে আসছে। আর ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হল হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ওরফে বলিউড (Bollywood)।
কিন্তু আগেকার বলিউড আর এখনকার বলিউডের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক। সেই আভিজাত্য, সেই রমরমা অস্তগত। বলিউড এখন ধুঁকছে। বিশেষত গত দু বছর ধরে মানুষ এক অন্য রূপ দেখছে ইন্ডাস্ট্রির। বয়কটের ডাক উঠছে বলিউডের বিরুদ্ধে। ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলার জোগাড়। কেন এই হাল তা নিয়ে নিজের মতামত দিলেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর (Swara Bhaskar)।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ দাবি করেন, সিনেমা এখন মানুষের অবসর কাটানোর উপকরণ হয়ে উঠেছে। অনেকেই সিনেমা দেখতে আর উৎসাহী নন। কিন্তু এতে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। তাঁর সঙ্গে সহমত হলেও স্বরার মতে, দর্শকদের হলে না আসার জন্য বলিউড দায়ী, একথা তিনি মানতে নারাজ।
করোনা কালের সময় থেকেই গ্রহণ লেগেছে বলিউডে। সেটা নজরে এসেছে স্বরারও। তিনি বলেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের দূর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পর বলিউডকে একটা অন্ধকার জগৎ হিসাবে দেখানো হয়েছে যেখানে মদ, মাদক এবং যৌনতাই সবকিছু। অভিনেত্রীর দাবি, যারা বলিউডকে পছন্দ করেন না তারা এসব রটিয়ে বেড়ান ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্কে।
এখানেই থামেননি স্বরা। হাস্যকর ভাবে বলিউডের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর তুলনা টেনেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “সবাই ওঁকে (রাহুল গান্ধী) পাপ্পু বলে ডাকে। তাতে মানুষের বিশ্বাসই হয়ে গিয়েছিল উনি অমন। আমার ওঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। উনি বাস্তবিকই বুদ্ধিমান এবং স্পষ্টবাদী ব্যক্তি। বলিউডের সঙ্গেও এই ‘পাপ্পু’ ব্যাপারটা ঘটেছে।”
বছর দুয়েক আগে সুশান্তের মৃত্যুর পর নেপোটিজম প্রসঙ্গ তুলে বয়কট করা হচ্ছিল বলিউডের ছবি। মাঝে বিষয়টা স্তিমিত হলেও এখন ফের ধর্মীয় জিগির তুলে ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে নেটনাগরিকদের একটা বড় অংশ। তার ফল ইতিমধ্যেই ভোগ করেছে লাল সিং চাড্ডা, রক্ষা বন্ধন, দোবারার মতো ছবিগুলো। আগামীতেও প্রতিটি বলিউড ছবিকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেটনাগরিকরা।