বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi Scheme) নিয়ে এবার আরও কড়া রাজ্য। আর জি কর আবহে এবার কড়াকড়ি রাজ্যের (Government of West Bengal)। বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা যদি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথীর অধীনে চিকিৎসা করতে চান হলে দিতে হবে এনওসি (নো অবজেকসন সার্টিফিকেট)। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সরকার থেকে এনে এই এনওসি দিতে হবে।
সূত্রের খবর, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বাস্থ্য সাথী স্কিম নিয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একবার প্রস্তাব অনুমোদন হলেই তা কার্যকর করবে স্বাস্থ্য দফতর। মনে করা হচ্ছে আর জি কর কাণ্ডের জেরেই এবার কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে পারে রাজ্য। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিত্সক ধর্ষণ-খুনে ঘটনার পর থেকেই টানা কর্মবিরতিতে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মাঝে সাময়িক পরিস্থিতি সামালে এলেও পরে সাগর দত্ত হাসপাতালের ঘটনার জেরে ফের শুরু হয় কর্মবিরতি। ডাক্তারদের এই লাগাতার কর্মবিরতির ‘অরাজকতা’ দেখা দেয় স্বাস্থ্য কাঠামোয়। ‘সমস্যা’য় পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের।
সরকারি হাসপাতালে পরিষেবায় ঘাটতির জেরে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) ‘স্বাস্থ্যসাথী’ (Swasthya Sathi) প্রকল্পের উপর ভরসা করে সু-চিকিৎসার আশায় বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হন সাধারণ মানুষ। যার জেরে বিপুল খরচ বারে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে। বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবসা বেড়ে যায় ৪০ শতাংশ।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সময় একাধিক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথীর অধীনে চিকিৎসা করেছেন। ইতিমধ্যেই কত জন চিকিৎসক আন্দোলনের সময়ে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক স্বাস্থ্য সাথীর অধীনে চিকিৎসা করেছেন, সেই তথ্য সমন্ড এসেছে। তার জেরেই কি কড়াকড়ি রাজ্যের? প্রশ্ন উঠছে?
আরও পড়ুন: দীপাবলির আগেই বিরাট উপহার! রোজগার মেলায় ৫১ হাজার নিয়োগপত্র দিলেন মোদি
সূত্রের খবর, এবার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গেলে সরকারের কাছ থেকে এনওসি। স্বাস্থ্য দফতর থেকেই সেই নো অবজেকসন সার্টিফিকেট নিতে হবে চিকিৎসকদের। জানিয়ে রাখি,’ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট’-এ এই নিয়ম রয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে তা কার্যকর করা হত না। তবে এবার উত্তপ্ত আবহে সেই নিয়মই কার্যকর করার পথে রাজ্য!