বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র বনাম রাজ্য রাজনীতির অন্তর্দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। বার বার কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে রাজ্য এবং রাজ্যকে কটাক্ষ করে কেন্দ্র যেভাবে মন্তব্য করে তাতে গেরুয়া বনাম তৃণমূল দুজনেই দূষণকে টেক্কা দিতে একেবারে মরিয়া। তবে এ বার স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের তুলনা তিনি প্রচারে নামল তৃণমূল।
তবে এ শুধু মুখে মুখে বলে প্রচার নয় এই বাড়ির চার্ট তিনি দুই প্রকল্প কী ভাবে পরিষেবা দেয় তা বুঝিয়ে দিচ্ছে শাসক শিবির, যা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের লড়াই আরও জোরদার হল। কয়েক দিন আগে রাজ্য কেন আসমান প্রকল্প নিচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধন করকে, একই সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কাজ ভাল হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলেন
তাই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে টুইটারে প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর তাই তো ইন্টারনেটে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান প্রকল্প কী কী সুবিধা দেয় তা ছক আকারে ছড়িয়ে দিচ্ছে, ইতিমধ্যেই দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন টুইটারের সেই তুলনা টেনেছেন।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর একটি চিকিত্সা সংক্রান্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে রাজ্যপাল একশো দিনের মধ্যেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিত্সার খরচ বহন করতে না পেরে আবেদন করেছে তার কাছে এমনটাই মন্তব্য করেন, একই সঙ্গে চিকিত্সা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি, পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় সরকারি আয়ুষ্মান প্রকল্পে যোগ দিয়ে উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন।
তাই কার্যত রাজ্যপালের প্রশ্নের কড়া জবাব দিতে এ বার রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীর চিকিত্সা খাতে ঠিক কতটা খরচ করে সেই সংক্রান্ত হিসেব তুলে ধরল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত প্রায় সমস্ত শ্রেণির মানুষের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিত্সা খাতে বিমার সুবিধা পান। বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিত্সা করার ক্ষেত্রেও এই সুবিধা পেয়ে থাকেন তাঁরা।