বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোটপর্দা পেরিয়ে সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত (Swastika Dutta)। বাংলা বিনোদুনিয়ার পরিচিত মুখ তিনি। সাধারণ পাশের বাড়ির মেয়ে থেকে হয়ে উঠেছেন রূপোলি পর্দার তারকা। তাই এখন আর আগের মতো ছিমছাম পুজো কাটে না তাঁর। কাজ থাকে পুজোর মধ্যেও। পাশাপাশি বিভিন্ন পুজোয় বিচারকের দায়িত্ব সামলানো থেকে ভক্তদের সেলফির আবদার মেটানো, স্বস্তিকার (Swastika Dutta) পুজো অনেকটাই ব্যস্ততার মধ্যে কাটে।
ছোটবেলার পুজো মিস করেন স্বস্তিকা (Swastika Dutta)
ছোটবেলায় অবশ্য পুজোর দিনগুলো অন্যরকম কাটত স্বস্তিকার (Swastika Dutta)। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে পুজোয় প্যান্ডেল হকিংয়ের বেরোতেন। পুজো কাটত তাঁর আম্মা, দাদু, আর বাবা মায়ের সঙ্গে। দুদিন বরাদ্দ থাকত উত্তর কলকাতার জন্য, আর দুদিন ঘুরতেন দক্ষিণ কলকাতা। তখন তিনি তারকা হয়ে ওঠেননি। স্বস্তিকার কথায়, সে সময়ে তাঁর পুজোয় কারোর হস্তক্ষেপ থাকত না।
আরো পড়ুন : মাধুরীর আবেদনে দিশেহারা, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে সংযম হারিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটান বিনোদ খান্না!
এখন ব্যস্ততা বেড়েছে অভিনেত্রীর
এখন আর স্বাভাবিক ভাবেই সেটা সম্ভব নয়। স্বস্তিকাও (Swastika Dutta) বোঝেন, পর্দায় দেখা মানুষটিকে বাস্তবে পুজোর ভিড়ে নিজের পাশে দেখার উত্তেজনা। তাই এখন আর নিয়ম মেনে প্যান্ডেল হপিং হয় না। এমনিতেই স্বস্তিকা (Swastika Dutta) জানান, সপ্তমী রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয় তাঁকে। অষ্টমীর সকালে আর ক্লান্তিতে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। তাই অঞ্জলিও দেওয়া হয় না। স্বস্তিকা (Swastika Dutta) জানান, এখন পুজোয় একদিন মা বাবার সঙ্গে বেরোন। একদিন নিজে একা বেরোন। আর একদিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেন।
আরো পড়ুন : ক্রিকেটার থেকে সঞ্চালক, আয়করই দেন কোটির উপরে! কত সম্পত্তির মালিক সৌরভ, জানেন?
এবার পুজোয় কী পরিকল্পনা স্বস্তিকার
স্বস্তিকা (Swastika Dutta) অবশ্য মানেন, অষ্টমীর অঞ্জলিতে ঠাকুরকে ফুল ছুড়ে দিলেই ঠাকুর আশীর্বাদ দেবেন, এমনটা নয়। মা দুর্গাকে তিনি নিজের মনের মধ্যে রাখেন। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বক্ষণ মা দুর্গাকেই স্মরণ করেন স্বস্তিকা। তাঁর বিশ্বাস, একমাত্র মা দুর্গাই পারবেন ন্যায়বিচার দিতে।
এবারের পুজো একেবারেই অন্য রকম। পুজোর মাস খানেক আগের সেই চেনা কলকাতা এখন রাত জাগছে মিছিল, জমায়েতে। স্বস্তিকা (Swastika Dutta) বলেন, সকলের মন খারাপ, মা দুর্গারও মন খারাপ। তাঁর মা বলেছেন, এ বছর পুজোয় নতুন কোনো জামাকাপড় কিনবেন না। দুর্গা মায়ের কাছে অভিনেত্রীর প্রার্থনা, নির্যাতিতা তিলোত্তমাকে ন্যায়বিচার দিয়েই যেন তিনি ফিরে যান।