বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্টার জলসায় নতুন নতুন শুরু হয়েছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Choya)। নতুন পুরনো মুখ মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহেই ভাল টিআরপি তুলে দিয়েছে সিরিয়ালটি। গল্প নিয়ে আপত্তি অবশ্য তুলেছিলেন অনেকেই। আবারো ফর্সা নায়িকাকে মেকআপের মাধ্যমে কালো বানানো, বিষয়টাকে মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। ঠিক যেমনটা আগে ‘কৃষ্ণকলি’র সঙ্গে হয়েছিল।
সিরিয়ালের গল্প অনুযায়ী, সকলের রূপবতী মেয়েকে পছন্দ হলেও নায়ক দিব্যজ্যোতির মন কেড়ে নেয় গুণবতী দীপা। কিন্তু সে তথাকথিত সুন্দরী নয়। গায়ের রংটাও অনেকটাই শ্যামবর্ণা। সে জন্য ছোট থেকেই সৎ মা বোনের চক্ষুশূল হয়ে বড় হয়ে উঠেছে দীপা।
বাস্তবেই কি এমনি দেখতে তাঁকে? নাহ, বরং উলটো। দীপা চরিত্রাভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ (Swastika Ghosh) বাস্তবে বেশ ‘ফর্সা’। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, চরিত্রের উপযোগী হয়ে উঠতে মেকআপের মাধ্যমেই গায়ের রং কালো করা হয়েছে তাঁর। তাতে অবশ্য এতটুকুও খারাপ লাগেনি স্বস্তিকার। কারণ দিনের শেষে তাঁর কাছে পারফরম্যান্সটাই সবার আগে।
খুব বেশিদিন কিন্তু হয়নি, অভিনয়ে পা রেখেছেন স্বস্তিকা। তাঁর অভিনয় কেরিয়ারের বয়স সবে দু বছর। এর আগে ‘সরস্বতীর প্রেম’ নামে একটি সিরিয়ালে অভিনয় করতেন। তারপরেই সোজা এই নায়িকার চরিত্র। আসলে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার রায়দিঘিতে বাড়ি স্বস্তিকার। পরিবারেও নাচগান, সংষ্কৃতির চর্চা রয়েছে। তিনি নিজে ভরতনাট্যম শিখেছেন।
স্বস্তিকা জানান, তিনি অভিনয়ে আসতে চান শুনে বাবা, মা, দিদি উৎসাহই দিয়েছেন। এমনকি রায়দিঘি থেকে কলকাতা যখন ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতেন তিনি, তখন বাবাও আসতেন তাঁর সঙ্গে। কয়েকবার তো রাতে স্টেশনেও থেকেছেন স্বস্তিকা। অনেক জায়গায় অডিশন দিয়ে তারপর সুযোগ পেয়েছেন।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় নায়িকার চরিত্রের জন্যই পনেরো ষোলো জনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে স্বস্তিকাকে। মাত্র তিন দিনে স্কুটিও চালাতে শিখতে হয়েছে তাঁকে। তবে হাল ছাড়েননি স্বস্তিকা। তাঁর মনোবল দেখে সহ অভিনেতা অভিনেত্রীরাও তাঁকে সাহস যোগান বলে জানিয়েছেন স্বস্তিকা।