বাংলাহান্ট ডেস্ক: বয়স ছুঁয়েছে চল্লিশের ঘর। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে (Swastika Mukherjee) দেখে কি সেটা বোঝা যায়? অনেকেই মাথা নাড়বেন, একেবারেই না। স্বস্তিকা দশ বছর আগেও যেমন মোহময়ী, প্রাণোচ্ছ্বল ছিলেন, এখনো ঠিক তেমনটাই আছেন। শুধু অভিনয়টা আরো ক্ষুরধার করেছেন। দরকার মতো বাড়িয়েছেন জিভের ধারও। নিন্দা, কটুক্তিও যে দিনদিন বাড়ছে।
‘ঠোঁটকাটা’ বলে সুনাম, দুর্নাম দুই আছে স্বস্তিকার। তাতে অবশ্য তেমন ভাবিত নন অভিনেত্রী। তাঁর শরীরের গঠন, পোশাক, এমনকি চুলের স্টাইল নিয়েও নিরন্তর আলোচনা, সমালোচনা হয়, তা তিনি বেশ জানেন। শুধু সমালোচনার মাত্রাটা যখন শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যায় তখনি ফোঁস করে ওঠেন তিনি। আবার তাঁর সোজা সাপটা উত্তর দেওয়ার ধরণ নিয়েও চর্চা হয়।
স্বস্তিকা অবশ্য জানান, তাঁর কখনোই মনে হয়নি যে ফিগার বা গায়ের রঙে অসাধারণ কিছু পেয়েছেন তিনি। কিন্তু নানা মুনির নানা মত। কেউ বলেন, স্বস্তিকা মানেই আবেদন, আকর্ষণ। আবার কারোর মতে, তাঁর শরীরে নাকি কোনো ছিরি নেই, চর্বির স্তূপ!
স্বস্তিকা নিজে কী মনে করেন? তাঁর উত্তর, অভিনয়ের জন্য নিজের শরীর নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেই হয় তাঁকে। কখনো ওজন বাড়ান, কখনো কমান। আগে ইচ্ছেমতো জীবনযাপন করতেন। কোনো বাধা ছিল না। কিন্তু বয়সটা যে ধীরে ধীরে বাড়ছে সেদিকে খেয়াল আছে অভিনেত্রীরও।
এখন একটু মেপে বুঝে চলেন। কষ্ট হলেও শরীরচর্চা করেন। স্বস্তিকার আক্ষেপ, শরীরের যে অংশগুলোতে মায়ের আদর লেগে ছিল, সেগুলো অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য এগুলো নিজের জন্যই করছেন তিনি। তাই তাঁর বিশ্বাস মা নিশ্চয়ই খুশিই হবেন।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে স্বস্তিকার নতুন ছবি ‘শ্রীমতী’। সমাজে মহিলাদের জন্য গতে বাঁধা জীবন তৈরি করে দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি। কোথাও গিয়ে রিল, রিয়েল মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের কাছে।