সোশ‍্যাল মিডিয়ায় মহিলারাই বেশি নোংরা মন্তব‍্য করেন, অভিযোগ স্বস্তিকার

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ইন্ডাস্ট্রিতে স্বস্তিকা মুখোপাধ‍্যায়ের (Swastika Mukherjee) পরিচয় তিনি ‘সাহসী’, ‘ঠোঁটকাটা’। স্পষ্ট কথা বলতে ডরান না। এজন‍্য বিতর্ক তাঁর নিত‍্যসঙ্গী। কিন্তু স্বস্তিকার বক্তব‍্য সম্পূর্ণ উলটো। আর পাঁচজনের মতো নিজের কাছের মানুষদের উপরে নির্ভর করতে ভালবাসেন তিনি। সাহসী তকমা শুনতে শুনতে আর ভাল লাগে না।

স্বস্তিকা বলেন, তিনি সোজা কথা বলতে ভালবাসেন। কিন্তু সেটা নিয়েই জন্ম হয় বিতর্কের। তিনি যা বলেন, যা করেন সব নিয়েই নেটপাড়ায় আলোচনা সভা বসে। তিনি সাজগোজ করলেও কটাক্ষ বাণ উড়ে আসে। আবার বিনা মেকআপে ছবি শেয়ার করলেও ওঠে বিদ্রুপের ঢেউ।

216164 troll against swastika
সমাজের চোখে নিজের ‘ত্রুটি’ ‘খামতি’ লুকিয়ে রাখার পক্ষপাতী নন স্বস্তিকা। কিছুদিন আগে মাদার্স ডে তে সগর্বে স্ট্রেচ মার্কস দেখানোর কথা বলে পোস্ট করেছিলেন তিনি। আদ‍্যোপান্ত ‘সুন্দর’ ‘নিখুঁত’ তো হতে পারে না কেউ। যেটা স্বাভাবিক সেটাকেই আপন করে নেওয়ার কথা বলেন স্বস্তিকা।

কিন্তু তাতেও ট্রোল। বয়স হচ্ছে, শরীর ভারী হয়ে যাচ্ছে, এমন সব কুরুচিকর মন্তব‍্যও ভেসে আসে তাঁর পোস্টে। আর অদ্ভূত ভাবে স্বস্তিকার দাবি, এই ধরনের কটুক্তি গুলো নাকি মহিলাদের থেকেই বেশি শুনতে হয় তাঁকে। যদিও এসব ট্রোল, সমালোচনায় আর কান দেন না স্বস্তিকা।

তাঁর কথায়, নিজের শরীরের দাগ, স্ট্রেচমার্কস নিয়ে তাঁর নিজের কোনো আপত্তি নেই। তাহলে অন‍্যদের এত মাথাব‍্যথার কারণ কী? তাই এসব নেতিবাচকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন স্বস্তিকা। নিজেকে ভাল রাখার জন‍্য যা যা করার সে সবই তিনি করেন।

স্বস্তিকা এর আগে জানিয়েছিলেন, যখন তিনি প্রথম প্রথম সোশ‍্যাল মিডিয়ায় এসেছিলেন তখন এসব নেতিবাচকতা তাঁর মনে প্রভাব ফেলত। অচেনা অজানা কারোর উদ্দেশ‍্যে এত কুরুচিকর মন্তব‍্য কীভাবে করতে পারে কেউ? প্রশ্ন উঠত মনে। তবে পরে তিনি বুঝতে পারেন যে খারাপটাকে এড়িয়ে যাওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ হবে।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর