বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে (Swastika Mukherjee) নিয়ে বিতর্ক থামার নাম নেই। রেড রোডে দূর্গাপুজোর কার্নিভ্যালে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি শেয়ার করার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়ে চলেছেন তিনি। উত্তরও দিয়েছেন স্বস্তিকা। কিন্তু ট্রোল তাতে থামার নাম নেই। এমনকি এবার অভিনেত্রীর স্বর্গীয় বাবাকেও টেনে আনি হয়েছে বিতর্কে।
দূর্গাপুজোর কার্নিভ্যালে এটাই স্বস্তিকার প্রথম যাওয়া। মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রীকে বিজয়ার প্রণাম জানিয়েছিলেন তিনি। উপহারে পান চকোলেট। সেই ছবি শেয়ার করতেই ধেয়ে আসে কটাক্ষের ঝড়। পালটা উত্তরও দিয়েছিলেন স্বস্তিকা।
তিনি লিখেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাঁকে নমস্কার করে বিজয়া জানানোটা ভদ্রতা, সৌজন্য। আমায় দুটো চকলেট দেওয়াটা ওনার ইচ্ছে, সেটা খেয়ে নেওয়াটা আমার। চকলেট নিয়েছি ইলেকশন টিকিট নয়, চকলেট খেয়েছি মোটা টাকার ঘুষ নয়। আমরা একটা সভ্য দেশে বাস করি, বর্বর নই। কাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলেও একই ভাবে নমস্কার করব কারণ সেটাই ঠিক।’
সঙ্গে তিনি এও লিখেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিত্বকে তিনি শ্রদ্ধা করি। তার মানে রাজনৈতিক মতবিরোধিতার সঙ্গে আপোষ করা নয়। যেটা অন্যায় সেটা তিনি নিশ্চই বলবেন। কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত বিষয় নিয়ে জিহাদ ঘোষনা করতেই হবে নাহলেই আমার মেরুদন্ড ধ্বসে পরবে এমন কোনো দাসখত তিনি লেখেননি।
স্পষ্ট উত্তর দেওয়ার পরেও স্বস্তিকাকে নিয়ে বিতর্ক থামেনি। এবার এক নেটনাগরিকের কটাক্ষে ফুঁসে উঠলেন অভিনেত্রী। ওই ব্যক্তি টুইটে লিখেছেন, তিনি বাক্যহারা হয়ে গিয়েছেন। অভিনেত্রীর বাবাও সম্ভবত কবরে পাশ ফিরেছেন, যার অর্থ তিনিও হতভম্ব। এরপর তিনি আরো লিখেছেন, শিল্পীরা পার্শ্ব জীবিকা না থাকলে হাওয়াই চটির তলা না চেটে পশ্চিমবঙ্গে শান্তিতে থাকতে পারে না। খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থা।
I am not a muslim, hindu by birth so was my father. Our bodies are burnt and our ashes thrown in the river. There is no grave so no ones turning. My father will be very proud that I maintain decency, dignity, respect and decorum. She is the Honourable CM not my Twitter friend 😊 https://t.co/3VIDmB9jkm
— Swastika Mukherjee (@swastika24) October 10, 2022
টুইটটি নজর এড়ায়নি স্বস্তিকার। উত্তরে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মুসলিম নই। জন্মগত হিন্দু আর আমার বাবাও তাই ছিলেন। আমাদের নশ্বর দেহ দাহ করে ছাই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। কোনো কবরের ব্যাপার নেই। আমার বাবা খুব গর্ব বোধ করবেন যে আমি ভদ্রতা, সম্মান দেখিয়েছি। উনি আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, আমার টুইটারের বন্ধু নন।’