বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঠোঁটকাটা বলে বরাবরই ‘দুর্নাম’ রয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের (swastika mukherjee)। পরিষ্কার জিনিসটা সোজাসাপটা ভাবেই বলা পছন্দ করেন তিনি। এর জন্য বহুবার সমালোচিত হলেও সেসবে কোনও পাত্তা দেননি অভিনেত্রী। সম্প্রতি ফের সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন স্বস্তিকা।
দিল বেচারার পর পরিচালক সুদীপ্ত রায়ের তাসের ঘর ছবির হাত ধরে ফের অভিনয়ে ফিরছেন স্বস্তিকা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ছবির পোস্টার। আর সেই পোস্টার নিয়েই যত বিতর্ক। লাল শাড়ি, নীল সাদা ছাপা ব্লাউজ, কপালে ছোট্ট টিপ, চোখের তলায় কালি, এলো খোপা এমনই গৃহস্থ বাড়ির বউয়ের রূপে ধরা দিয়েছেন স্বস্তিকা ওরফে সুজাতা।
এত পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু স্বস্তিকার ব্লাউজের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়েছে কালো অন্তর্বাসের স্ট্র্যাপ। ব্যস্ত গৃহবধূর বেখেয়ালে যেমন হয় আর কি। কিন্তু এই বিষয়টা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু করেছে নেটিজেনের একাংশ। ফের শুরু হয়েছে স্বস্তিকাকে নিয়ে ট্রোল, সমালোচনা।
কিন্তু ছাড়বার পাত্রী নন অভিনেত্রীও। আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকার চাঁচাছোলা জবাব, “কেন উত্তর দেব না বলুন তো? সবসময় ছাড়ব কেন? সারাজীবন ছেড়েই রাখব? কি হবে? লোকে বাজে কথা লিখলে লিখুক। কিন্তু একটা সচেতনতা তো তৈরি হবে। মানুষ জানে না মেয়েরা অন্তর্বাস পরে? না পড়লে তো রাস্তায় লোকেরাই তাকাবে। তাই পরতে হয়। সমাজ বদলাক না, লোকেরা মেয়েদের বুকের দিকে তাকানো বন্ধ করুক। তাহলেই আর অন্তর্বাস পরতে হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “মেয়েরা প্যান্টি পরে, পিরিয়ডসের সময় প্যাড ব্যবহার করে। এসব অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। তাহলে এখনও কেন এত লুকোছাপা? আমি অন্তর্বাস দেখাব, প্যাড লুকিয়ে কালো প্লাস্টিকে কিনব না। সরকারই বলছে কন্ডোম ব্যবহার করতে অথচ মানুষ কন্ডোম কিনবে লুকিয়ে। এর উল্টো দিকটা অভ্যাস করুক না মানুষ। লুকিয়ে, ফিসফিস করে কিছু করিনা আমি।”
প্রসঙ্গত, সুদীপ্ত রায়ের পরিচালনায় আগামী ৩রা সেপ্টেম্বর হইচইতে মুক্তি পেতে চলেছে তাসের ঘর। এরপর অর্জুন দত্তর শ্রীময়ী ছবিতেও দেখা যাবে স্বস্তিকাকে। সোহম চক্রবর্তীকে ছবিতে দেখা যাবে তাঁর স্বামীর ভূমিকায়।