বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিষয়টা যখন অভিনয় (Acting), তখন কী ছোটপর্দা, বড়পর্দা বা থিয়েটারের মঞ্চ! সব মিলেমিশে এক। স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় করতে পারলে দর্শকরা ভালবাসায় ভরিয়ে দেবেন। এই বিশ্বাসেই বিশ্বাসী বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তাই এখানে সিরিয়ালে কাজ শুরু করে সিনেমায় পা রাখা যায়। আবার বড়পর্দার প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রীরাও কাজ করেন ছোটপর্দায়।
এমনি একজন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya)। বড়পর্দাতেও টুকটাক কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু এখনো ‘ঝুমকো’ বা ‘যমুনা’ নামেই সবাই একডাকে চেনে তাঁকে। ‘প্রজাপতি’ ছবিতে দেব ও মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনয় করছেন শ্বেতা। দুই প্রজন্মের দুই সুপারস্টারের সামনে তিনি নবাগতা। কিন্তু দুজনেই নাকি আপন করে নিয়েছেন তাঁকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্বেতা বলেন, তিনি সিরিয়াল থেকে এসেছেন। তবুও দেব সবার সঙ্গে গল্প করে, মজা করে কাজ করছিলেন। সুপারস্টার সুলভ কোনো ব্যাপারই নেই ওঁর মধ্যে। মিঠুন চক্রবর্তী সম্পর্কে শ্বেতা বলেন, ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না তিনি কেমন মানুষ।
একটা উদাহরণ দিয়ে পর্দার ‘যমুনা’ বলেন, ফলে ভরা গাছ যেমন নুয়ে থাকে, মিঠুন ঠিক তেমনি। তাঁর অভিজ্ঞতা, জ্ঞান তাঁকে আরো বিনয়ী করে তুলেছে। এত বড় মাপের একজন তারকা, অথচ কী মাটির মানুষ। নিজের সফর নিয়ে, আইকনিক সব নাচের স্টেপগুলোও নাকি করে দেখাতেন মহাগুরু। মানুষটাকে মন থেকে ভালবেসে ফেলেছেন শ্বেতা।
প্রথম বার একসঙ্গে অভিনয় মিঠুনের সঙ্গে। কিন্তু শ্বেতা বলেন, ঘাবড়ানোর সুযোগই দেননি অভিনেতা। সবটা খুব ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। শ্বেতার ব্যাপারে তাঁর মায়ের কাছেও প্রশংসা করেছেন, মেয়ে খুব ন্যাচারাল অভিনেতা। মনেই হয় না যে অভিনয় করছে।
শুধু অভিনয় নয়। সেটে খাওয়া দাওয়াও হত জমিয়ে। আর খাওয়াতেন মিঠুন। যেমন ভাল রাঁধুনি তেমনি লোক খাওয়াতেও নাকি খুব ভালবাসেন অভিনেতা। মুম্বই কাঁপানো ‘ডিস্কো ডান্সার’, তিনি কিনা এখনো মুড়ি ভক্ত! ভাবা যায়! কিন্তু শ্বেতার কথায়, এটাই বাস্তব। মিঠুনের মধ্যে এখনো ভরপুর বাঙালিয়ানা রয়ে গিয়েছে।
সন্ধ্যা হলেই তিনি মুড়ি মাখাতেন। তারপর সবাইকে ডেকে ডেকে সেই মুড়ি খাওয়াতেন। খাওয়াদাওয়া সম্পর্কিত যাবতীয় আড্ডা মিঠুনের সঙ্গেই হত বলে জানান শ্বেতা। দেব ডায়েটে আছেন, তাই একটু কমিয়ে সমিয়েই খান তিনি। আর অভিনেত্রী নিজে? তাঁর ‘কষ্টের’ কথা, বাড়ির নীচেই রেস্তোরাঁ। তাই ডায়েট করার ইচ্ছা থাকলেও হয়ে ওঠে না।
যমুনা ঢাকি শেষ হতেই সোজা প্রজাপতি। শ্বেতা জানালেন, আগেই অনেক প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তবে মেগার জন্য ছেড়ে দেন। তবে এখন আর না। এখন শুধুই সিনেমায় মন দিতে চান তিনি। আগামীতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা আছে শ্বেতার।