ছোটবেলা কেটেছে নুন-ভাত খেয়ে, অসুস্থ বাবা-মা, কঠিন পরিশ্রমের জোরে আজ ছোটপর্দা-বড়পর্দা কাঁপাচ্ছেন শ্বেতা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya) এখন ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দাতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। সিরিয়াল থেকে সোজা সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। উপরন্তু প্রথম ছবিতেই সুপারস্টার দেবের সঙ্গে অভিনয় করে ফেলেছেন শ্বেতা। সিরিয়ালের শুটিংয়ের পাশাপাশি করেছেন সিনেমার প্রচার। একা হাতেই সবদিক সামলাচ্ছেন তিনি।

অবশ‍্য কাজ করতে ভালোইবাসেন শ্বেতা। তাঁর কথায়, কাজের মধ‍্যে থাকলে তিনি অবসাদ ভুলে থাকেন। মেগা সিরিয়ালের শুটিং মানে মাসের অধিকাংশ দিনই বুকড। কিন্তু শ্বেতা শুটিং শুরুর আগেই একাধিক শর্ত দিয়ে দেন। রবিবার আর ১ লা জানুয়ারি তাঁর ছুটি চাই। তাছাড়া মাচা শো আসলে তাঁকে আগে ছুটি দিতে হবে।

shweta bhattacharya in jamuna dhaki episode 162 2020
অবশ‍্য শুটিং ভালবাসলেও মাচা শো একেবারেই পছন্দ করেন না শ্বেতা। কিন্তু করতে বাধ‍্য হন নিজের পরিবার, দায়িত্বের দিকে তাকিয়ে। কারণ মাচা শোতে  রোজগার বেশি। ছোট থেকে দারিদ্র দেখে বড় হয়েছেন শ্বেতা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ছোটবেলায় নুনভাত খেয়ে বড় হয়েছেন তিনি। একবেলা খেলে পরের বেলা কী খাবেন তার ঠিক ছিল না। শ্বেতা বলেন, বাইরে বেরোনোর আগে মা শিখিয়ে দিতেন, কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে তাহলে যেন বলেন মাছ ভাত বা মাংস ভাত খেয়েছেন।

নিজের দাদাকে হারিয়েছেন শ্বেতা। বাবা মা দুজনেই অসুস্থ। দুবার স্ট্রোক ইতিমধ‍্যেই হয়ে গিয়েছে। ডান চোখে দেখতেও পান না তিনি। শ্বেতা জানান, চিকিৎসক বলে দিয়েছেন আর যদি স্ট্রোক হয় তাহলে নিজের মাকে আর বাঁচাতে পারবেন না তিনি। তাই মাকে সঙ্গে নিয়েই প্রতিদিন শুটিং সেটে আসেন শ্বেতা। মাকে চোখে চোখে রাখেন তিনি।

ছোটবেলাটা খুবই কষ্টে কেটেছে শ্বেতার। সেই সব দিনগুলো এখনো ভোলেননি তিনি। তাই এখন কঠোর পরিশ্রম করেন শ্বেতা। কাজের অভাব যেন না হয় কখনো, সেদিকেই নজর থাকে তাঁর। বাবা মা যে কষ্ট করেছেন আগে, সেটা যেন আর না করতে হয় তাঁদের, এটাই চান শ্বেতা।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর