নয়া আইন আসতে চলেছে সুইজারল্যান্ডে, বাড়ছে মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুইজারল্যান্ডে সার্বজনীন জায়গায় বরদখা সমেত সবরকম ফেস কভারিং ব্যান করা নিয়ে রবিবার জনমত সংগ্রহ করা হবে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, সুইজারল্যান্ডের বেশীরভাগ নাগরিক এই ব্যানকে সমর্থন করছেন আর এটি খুব শীঘ্রই আইনে বদলে যাবে। সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢাকার প্রস্তাবিন ব্যান নিয়ে মুসলিমরা ক্ষোভ জাহির করেছে।

রাইট উইং সুইস পিপলস পার্টি এই নিয়ে একটি ক্যাম্পেনও চালাচ্ছে। জায়গায় জায়গায় অনেক ব্যানার লাগানো হয়েছে। সেই ব্যানারে বোরখা পরা মহিলার ছবির সাথে সাথে কট্টরতা রোখার কথা বলা হয়েছে। দেশের এক সাংসদ তথা জনমত সংগ্রহ কমিটির সদস্য ওয়াল্টার ববম্যান বলেন, সুইজারল্যান্ডের ঐতিহ্য হল সবাই নিজের নিজের মুখ দেখাবে। আর মুখ ঢাকা আমাদের শতাব্দী প্রাচীন পরম্পরা বিরোধী।

যদিও, পেশ করা প্রস্তাবে ইসলাম আর মুসলিম মহিলাদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে শুধু উল্লেখ করা হয়েছে যে, হিংসাত্মক প্রদর্শনকারী আর মাস্ক পরা দুষ্কৃতীদের উপর লাগাম লাগাতে ফেস কভারিং ব্যান করা জরুরী। যদিও, রাজ্যের বিরোধী নেতা আর মুসলিম সংগঠন গুলো এই প্রস্তাবকে বোরখা ব্যান করার প্রস্তাব বলে আখ্যা দিয়েছে।

যদি এই ব্যান কার্যকারী হয়ে যায়, তাহলে সুইজারল্যান্ডের মুসলিমদের ক্ষোভ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা। ২০০৯ সালে সুইজারল্যান্ডে নতুন মিনার বানানো নিষিদ্ধ করার জন্য এভাবেই জনমত নেওয়া হয়েছিল। আর সুইজারল্যান্ডের দুই জায়গায় আগে থেকেই বোরখা নিষিদ্ধ আছে।

ববম্যান বলেন, এই জনমত ইসলামের বিরুদ্ধে না, কিন্তু বোরখা পরা আর কট্টর ইসলামের রাজনীতি বেড়েই চলেছে। গোটা ইউরোপে ইসলামিক রাজনীতিকরণ দ্রুত গতিতে বেড়ে চলছে। আর সুইজারল্যান্ডে এর কোনও জায়গা নেই।

X