বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লী পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Crime Branch) তাবলীগ জামাতের (Tablighi Jamaat) প্রধান মৌলানা সাদ (maulana saad) এবং অন্য মৌলানাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর এ অনিচ্ছাকৃত হত্যার ধারা জুড়ে দিয়েছে। আর এই কারণে মৌলানা সাদ সমেত অন্যান্য অভিযুক্তরা এখন অগ্রিম জামিন নিতে পারবে না। ক্রাইম ব্রাঞ্চ মৌলানা সাদ সমেত ১৭ জনকে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে মৌলানা সাদ সমেত ১১ জন নিজেকে কোয়ারেন্টাইন করেছে বলে জানায়।
এখন মৌলানা সাদের কোয়ারেন্টাইন পিরিওড শেষ হয়ে গেছে। আর এরপরই দিল্লী পুলিশ মৌলানা সাদকে গ্রেফতার করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাবলীগ জামাত প্রধান মৌলানা সাদের বিরুদ্ধে দিল্লী পুলিশ দ্বারা অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হওয়ার পর সমস্য আরও আবেরে গেছে। নিজামুদ্দিনের মরকজে জামাতিদের করোনা পজেটিভ পাওয়ার পর গায়েব হয়ে যাওয়া মৌলানার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা আরও সঙ্গিন হয়ে উঠেছে।
ক্রাইম ব্রাঞ্চ ৩১ মার্চ দায়ের করা মামলায় মৌলানা সাদ আর অন্যদের বিরুদ্ধে মহামারী অধিনিয়ম আর আইপিসি ধারা ২৬৯, ২৭০, ২৭১ এবং ১২০ এর অধীনে পদক্ষেপ নিয়েছিল। এই সমস্ত ধারা গুলো সঙ্গিন অপরাধের মধ্যে পড়েনা, আর এগুলো সবই জামিন যোগ্য ধারা।
কিন্তু ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক বরিষ্ঠ অফিসার জানান, তদন্তের সময় মরকজে করা কাজের জন্য দেশের মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা সামনে এসেছে। প্রমাণ পাওয়ার পর ক্রাইম ব্রাঞ্চ এফআইআর এ আইপিসি ধারা ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা) ধারা যুক্ত করেছে। এই ধারা অনুযায়ী, অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৌলানা সাদের কমপক্ষে দশ বছর আর সর্বাধিক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হবে।