তাবলীগি জামাতিরা আতঙ্কবাদী সরকার তাদের VIP চিকিৎসা দিচ্ছে: মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তাবলীগি জামাত সদস্যরা সন্ত্রাসবাদী অথচ তাদের ভিআইপি করা হচ্ছে। একটি ভাইরাল (viral) হওয়া ভিডিও(video) ক্লিপে কানপুরের (kanpur) গৌরীশংকর বিদ্যার্থী মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে এমনটাই বলতে শোনা গিয়েছে। সোমবার ওই মহিলা ডাক্তারকে তার পদ থেকে অপসারণ করা এবং তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা দাবি করেছেন কানপুরের প্রাক্তন সংসদ সুভাষিনী আলি(Subhashini Ali)।

অভিযুক্ত ডাক্তার আরতির লালচন্দানির অবশ্য বক্তব্য, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর একেবারে প্রথম দিকে একসঙ্গে অনেক রোগী এসে পড়ায় বিভ্রান্ত হয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ভিডিও ক্লিপটি এডিট করা হয়েছে, তিনি কোনো সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে ওই কথা বলেননি। এবং কোনও মুসলমানদের নিশানা করেননি তিনি।

ভিডিও ক্লিপটি যাচাই না করা গেলেও সেখানে দেখা যাচ্ছে আরো কয়েকজনের উপস্থিতিতে ডাক্তার লালচন্দানি বলছে যে, বালা উচিত নয় তবে এরা সন্ত্রাসবাদী, আর আমরা তাদের ভিআইপি চিকিৎসা দিচ্ছি। তাদের খাবার সরবরাহ করছি ওদের জন্য আমাদের সংস্থান শেষ করে দিচ্ছি। তিনি আরোও বলেন, জামাত সদস্যদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বিনষ্ট হয়ে হচ্ছে। তাকে স্পষ্ট বলতে  শোনা গিয়েছে, ওই রোগীদের বিচ্ছিন্ন রাখার পরিবর্তে এবং তাদের জেলখানার নির্জন কারাগারে বন্দি করা উচিত বা জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়া উচিত এবং সেখানে তাদেরকে বন্দি করা উচিত।

এদিন এই বিষয় নিয়ে কামপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কড়া সমালোচনা করেন কানপুর প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিনী আলি ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সায়গল এর কন্যা জেলা প্রশাসনের কাছে ওই ভিডিও ক্লিপের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন দোষী প্রমাণিত হলে অধ্যক্ষকে অবিলম্বে অপসারণ করা উচিত এবং তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা উচিত।

ভিডিওটি থেকে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি চিকিৎসকদের নষ্ট করা হচ্ছে বলে সমালোচনা করেছেন, তিনি দাবি করেন চিকিৎসার জন্য রাজ্যের লোক এবং বাসস্থান না ব্যবহার করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর একটি আদেশ জারি করা উচিত।

ali

ভিডিও ক্লিপটি ভাইরাল হওয়ার পর ডাক্তার লাল চাঁন বলেছেন আমি রাগও হতাশা থেকে এটা বলেছিলাম, এই নিয়ে আমি কোনো বিবৃতি চাইনা। আমি এটা বলেছিলাম কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে তিনি মার্চ মাসে হাসপাতাল জামায়াত সদস্যসহ রোগীদের প্রাথমিক ধাক্কা কথা উল্লেখ করেছেন। ভিডিও ক্লিপটি যাচাই না করা গেলেও ফুটেছে থেকে পরিষ্কার ওই ভিডিও গোপনে তোলা হয়েছে।

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন তাকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য অপারেশন চালানো হয়েছে ওই সাংবাদিক ওই ব্যক্তিগত কথোপকথন এর ভিডিও ফাঁস না করার বিনিময়ে। তার কাছ থেকে আউটসোর্সিংয়ের চুক্তি এবং বিশেষ সুবিধা চেয়েছিলেন, তিনি তাতে রাজি না হয় এটা পাস করা হয়েছে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি ওই সাংবাদিক মুসলমানদের এবং সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন তিনি দাঙ্গা বাধাতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন ডাক্তার আরতি লালচন্দানি।

সম্পর্কিত খবর