বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বামী জীবনকৃষ্ণ সাহা বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তিনি না থাকলেও নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) স্ত্রী টগরী (Tagari Saha)। তবে তাতে মত নেই জেলবন্দি স্বামীর। নিজে তৃণমূল বিধায়ক, ওদিকে স্ত্রী নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। খবর পেয়েই বলেছিলেন তৃণমূলের (TMC) বিরোধিতা করায় স্ত্রীর এই এই তার কাজে সমর্থন নেই। এরপর স্ত্রীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতেও অনুরোধ জানান তিনি।
স্বামীর কথা কী আর ফেলা যায়! যেমনি কথা তেমনি কাজ। স্বামীর অনুরোধ মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী। এই পর্যন্ত তো ঠিক ছিল। তবে তারপর থেকেই খোঁজ নেই টগরীর। কোথায় গেল বিধায়ক পত্নী! এই নিয়েই জোর জল্পনা এলাকায়।
অনেকে বলছেন কলকাতায় গিয়েছেন টগরী, স্বামীর মুক্তির দিন গুনছেন তিনি। আবার কেউ বলছেন তিনি স্বামীর মঙ্গল কামনায় পুরী (Puri), জগন্নাথদেবের কাছে পরিবারের সাথে পুজো দিতে। তবে আসলে তিনি কোথায় গিয়েছেন জানা নেই কারই। প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের টগরী সাহা নির্দল প্রার্থী হয়ে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির ১১ নম্বর আসনে মনোনয়নপত্র জমা করেছিলেন।
তার ভাবনা ছিল পঞ্চায়েত সমিতির ওই আসনে দাঁড়ালে শাসকদল তাকে টিকিট দিলেও দিতে পারে। এই বিষয়ে বড়ঞা ব্লক তৃণমূল সভাপতি রবীন কুমার ঘোষ বলেছিলেন টগরী সাহা নির্দল (Independent) হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করছেন। তবে পরবর্তীতে শাসকদলের দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশাবাদী ছিলেন তারা।
তবে তা আর হল না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়েছেন যে কোনও নির্দল প্রার্থীকে দল সমর্থন করবে না। এরপরই শাসকদলের টিকিট না পেয়ে ২০ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন টগরী সাহা। তবে তারপর থেকেই টগরীর কোনও খোঁজ নেই। বাড়িতে ঝুলছে তালা।