বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের (china) দাদাগিরির যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত তাইওয়ান (taiwan)। প্রথম থেকে তাইওয়ানের উপর জুলুম দেখিয়ে আসা চীনকে এবার বড়সড় ঝটকা দিতে প্রস্তুত তাইওয়ান। এই কাজে তাইওয়ানের সঙ্গ দিচ্ছে সুপার পাওয়ার আমেরিকাও। একদিকে পারমাণবিক বোমা এবং অন্যদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে শক্তিশালী যুদ্ধ জাহাজ, মিসাইল মোতায়েন- সবদিক থেকে চীনকে মাত দিতে পুরোপুরো প্রস্তুত তাইওয়ান।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনকে শায়েস্তা করতে, সীমান্ত এলাকায় ৬ টি যুদ্ধ জাহাজ, ৮ টি যুদ্ধ বিমান এবং ১০ টি মিশাইল মোতায়েন রেখেছে তাইওয়ান। ক্ষমতার প্রকাশ ঘটাতে তাইওয়ান চীনের উপর নজরদারীও করছে। তাইওয়ানও যে কোন অংশে কম নয়, তা প্রমাণ করে দিচ্ছে।
শুধুমাত্র শক্তিশালী যুদ্ধের অস্ত্রই নয়, চীনকে শায়েস্তা করতে পারমাণবিক হাতিয়ার তৈরি করার পরিকল্পনাও করছে তাইওয়ান। এই পারমাণবিক বোমার এমন ক্ষমতাসম্পন্ন হবে যে কোটি কোটি বছর পরও এর আঘাত প্রথমদিনের মতই সতেজ থাকবে। দেড় কোটি জনসংখ্যার যে দেশকে সর্বদা চীন নিজের কবজায় করতে চায়, এবার সেই তাইওয়ান চীনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে ক্রমাগত চীন নিজের শক্তিবৃদ্ধি করছে, তাইওয়ানকে ভয় দেখিয়ে কবজা করতে তাইওয়ানের আকাশ সীমায় ঢুকে পড়ছে চীনা যুদ্ধ বিমান। তাই এই বাড়তে থাকা যুদ্ধের পরিস্থিতির মধ্যে তাইওয়ানও নিজেদেরকে সর্বোতভাবে প্রস্তত রাখছে। ১৯৭০ সাল থেকেই তাইওয়ান পারমাণবিক বোমা বানানোর কাছে লেগে পড়েছিল। তাইওয়ানের কাছে আগে থাকতেই দুটো পারমাণবিক প্ল্যান্ট মজুত রয়েছে। তাই তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে বেশি সময় লাগবে না।
তাইওয়ানের এই ক্ষমতার পেছনে রয়েছে আমেরিকা। যে আমেরিকা একটা সময় তাইওয়ানকে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে নিষেধ করেছিল, এখন সেই আমেরিকাই তাইওয়ানের পাশে দাঁড়িয়ে পারমাণবিক বোমা তৈরির ক্ষেত্রে সাহায্য করছে। চীনের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তাইওয়ানকে শক্তি জোগাচ্ছে আমেরিকা। শুধুমাত্র মৌখিক সমর্থনই নয়, নিউক্লিয়ার মিসাইল আক্রমণাত্মক যুদ্ধ বিমান দিয়ে সাহায্য করেছে তাইওয়ানকে। বর্তমানে আমেরিকার সাহায্যে পারমাণবিক বোমা তৈরির দিকেও এগোচ্ছে তাইওয়ান। যে দেশকে নিজেদের কবজায় করতে চেয়েছিল চীন, সেই দেশই এখন ড্রাগনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তাইওয়ানের এই পারমাণবিক বোমা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে কোণঠাসা চীনের হালত অনেকটাই খারাপ হয়ে যাবে।