বাংলাহান্ট ডেস্ক : আদানি গোষ্ঠী (Adani Group) তাজপুর নির্মাণ করতে চলেছে গভীর সমুদ্র বন্দর। সেই সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য আদানি গোষ্ঠী শীঘ্রই শুরু করতে চলেছে পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষা। আদানি গ্রুপের সিইও (বন্দর) সুব্রত ত্রিপাঠী সোমবার বলেছেন, পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ এই বর্ষাকালেই শুরু করতে চাইছি আমরা।
আদানি গোষ্ঠী আপাতত অপেক্ষায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘লেটার অফ এগ্রিমেন্ট’-র (দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তি)। এই চুক্তি পত্র পেয়ে গেলেই আদানি গোষ্ঠী শুরু করতে পারবে পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং অন্যান্য পক্ষের থেকে ছাড়পত্র পেয়ে গেলেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া হবে ‘লেটার অফ এগ্রিমেন্ট’।
আদানি গ্রুপ পশ্চিমবঙ্গের তাজপুরে যে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তুলতে চলেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাংলার জন্য। ২৫ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলে তা নিঃসন্দেহে রাজ্য সরকারের কাছে একটা ‘প্লাস পয়েন্ট’ হবে। অনেকেই বলছেন আদানি গ্রুপের এই বন্দর তৈরি হলে রাজ্য সরকারের শিল্প বিরোধী তকমা অনেকটাই ম্রিয়মাণ হবে।
এছাড়াও এই সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে হাজার হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে। সব মিলিয়েই বলা যায়, শিল্পায়নের পথে আরোও একধাপ এগিয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গ। আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট গত ২৪ শে জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসার পর তাজপুরের সমুদ্র বন্দর নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুরু হয় সংশয়।
রিপোর্ট সামনে আসার পর ধ্বস নামতে থাকে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। যদিও পরে এই ধাক্কা অনেকটাই সামলে নেয় গৌতম আদানির সংস্থা। আদানি গ্রুপের সিইও (বন্দর) সোমবার জানান, ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ ইতিমধ্যেই তারা পেয়ে গেছেন। পরিবেশ সমীক্ষার কাজ শুরু হবে ‘লেটার অফ এগ্রিমেন্ট’ হাতে পাওয়ার পর।