বাংলাহান্ট ডেস্ক: হিন্দি বিনোদন জগতের নামজাদা অভিনেতাদের মধ্যে একজন ধর্মেন্দ্র (dharmendra)। ‘শোলে’র বীরু থেকে শুরু করে ‘সীতা অউর গীতা’, ‘ধরম বীর’এর মতো ছবি, চরিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি ধর্মেন্দ্রর স্টাইলও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল সিনেপ্রেমীদের মধ্যে। নাম, যশ, খ্যাতি কোনোটারই কমতি নেই তাঁর। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির এত বড় একজন অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও নিতান্ত সাধারন ভাবে জীবন যাপন করেন ধর্মেন্দ্র।
মাটির খুব কাছাকাছি থাকতে ভালবাসেন তিনি। তাই এখন অভিনয় ছেড়ে বেশির ভাগ সময় চাষবাসের কাজ নিয়েই থাকেন ধর্মেন্দ্র। নিজের হাতে পোষ্য গোরু, ছাগলদের খাবার খাওয়াতে ভালবাসেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। ধর্মেন্দ্র জানান, এতে মনে শান্তি পান তিনি। এমনকি স্ত্রী অভিনেত্রী হেমা মালিনীও মাঝে মাঝে তাঁকে সাহায্য করেন বলে জানান অভিনেতা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মেন্দ্রর খামার বাড়ির বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। শহরের হই হট্টগোল থেকে দূরে শান্ত পরিবেশে রয়েছে অভিনেতার এই খামার বাড়ি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে কখনো তাঁকে দেখা যায় শাক সবজির দেখভাল করতে, আবার কখনো গোরুর সেবাযত্ন করতে। জৈবিক উপায়ে শাকসবজি উৎপাদিত হয় ধর্মেন্দ্রর খামার বাড়িতে। সে সব আবার ছেলে মেয়েদের বাড়িতে পাঠান অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে প্রকাশ কউর এর সঙ্গে খ্রিস্টান রীতিতে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র ওরফে ধরম দেওল। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। কিন্তু তাঁকে বিচ্ছেদ না দিয়েই হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন অভিনেতা। তাঁদের চার ছেলে মেয়েও হয়, অজয় সিং (সানি), বিজয় সিং (ববি), অজেতা দেওল ও বিজেতা দেওল।
শোনা যায় প্রথমে একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াতে চাননি হেমা। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়ে নিজের অনুভূতির উপর নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর প্রাক্তন স্ত্রীর ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন তিনি। নিজের জীবনীতে এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন হেমা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্রর অপর পরিবারের সঙ্গে তাঁর কখনো দেখা হয়নি। কারণ তাঁদের বিরক্ত করতে চাননি তিনি।