পাত্তা পাবেনা দিঘা-দার্জিলিংও! রাজ্যের এই শেষ জনপদে বেড়িয়ে এলে মন ভরে যাবে আপনার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাঙালি যে অত্যন্ত ভ্রমণপিয়াসী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর ওই কারণেই কয়েকদিন ছুটি পেলেই ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেড়াতে (Travel) বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। তবে, আমরা সাধারণত ভ্রমণের ক্ষেত্রে দিঘা-পুরী-দার্জিলিংয়ের (Digha-Puri-Darjeeling) মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও আমাদেরই রাজ্যে এমন কিছুই স্থান রয়েছে যেগুলির নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য রীতিমতো অবাক করে দেবে সবাইকেই। যদিও, সেগুলি এখনও থেকে গিয়েছে পর্যটকদের অন্তরালেই।

এমতাবস্থায়, সামনেই পড়তে চলেছে গরমের ছুটি। যার ফলে বেশ কয়েকদিন যাবৎ ছুটি মিলবে কর্মব্যস্ততা থেকে। আর এই ছুটিকে কাজে লাগিয়েই আপনি যদি পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন সেক্ষেত্রে এই প্রতিবেদনটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। অনেকেই এই সময় দার্জিলিং অথবা কালিম্পংয়ের অফবিট স্থানগুলিতে বেড়াতে যান। ওইসব স্থানগুলিতে ভিড় কম থাকার পাশাপাশি প্রকৃতিকে যেন আরও কাছ থেকে উপভোগ করা যায়। বর্তমান প্ৰতিবেদনে আমরা ঠিক সেইরকমই এক স্থানের বিষয় উপস্থাপিত করছি।

মূলত, আজ আমরা ভারত এবং ভুটানের সীমান্তে অবস্থিত ডুয়ার্সের (Dooars) একটি পর্যটনস্থলের বিষয়ে জানাবো। এমনিতেই ডুয়ার্স সেই অর্থে অফবিট স্থান না হলেও ডুয়ার্স সংলগ্ন বহু জায়গাই এখনও অচেনা রয়েছে ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে। আর সেরকমই এক স্থানের নাম হল প্যারেন (Paren)। এই স্থানটি ঝালং-বিন্দু রুটে পড়ে। উল্লেখ্য যে, ঝালং ও বিন্দু এই দুই স্থান কিন্তু এখানকার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

প্যারেন তার সৌন্দর্যে রীতিমতো মুগ্ধ করে দেবে আপনাকে। জলদাপাড়া থেকে ফালাকাটা হয়ে যেতে হয় এই স্থানে। যাওয়ার পথে পড়বে গরুমারা অভয়ারণ্যও। এছাড়াও রয়েছে চাপড়ামারির জঙ্গলও। সেখান থেকেই সোজা পৌঁছে যাওয়া যায় ঝালং। আর ঝালং থেকে আপনি পৌঁছে যাবেন প্যারেনে। সবমিলিয়ে ঘন্টা তিনেকের পথ। যাওয়ার সময়ে দেখা যাবে জলঢাকা নদীকেও। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারত-ভুটান সীমান্তের একদম শেষ জনপদ হল এটি।

এদিকে, ট্রেনে করে গেলে আপনাকে প্রথমে নামতে হবে নিউ মাল জংশনে। সেখান থেকে ঝালংয়ের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। আর ঝালংয়ের কাছেই রয়েছে এই প্যারেন। পাশাপাশি, সেখানে পর্যটকদের সুবিধার্থে রয়েছে কটেজও। তাই আপনি চাইলে সেখানে নিশ্চিন্তে রাত কাটাতে পারেন।

paren 1589915690

কেন যাবেন: বর্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই আমরা আরও ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। যার ফলে বাড়ছে মানসিক ক্লান্তি। আর তাই, মনকে ভালো রাখতে এবং কর্মব্যস্ততার চিন্তা থেকে খানিক মুক্তি পেতে আপনি কিন্তু প্যারেন যেতেই পারেন। সেখানে গেলে আপনি সম্মুখীন হবেন এক মায়াময় পরিবেশের। সবুজ জঙ্গলের মাঝে আপনাকে স্বাগত জানাবে ঝাঁক ঝাঁক পাখি। যাঁরা নিরিবিলিতে বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্য একদম উপযুক্ত স্থান হল এটি। দিনের বেলা পাখির ডাক এবং রাত্রিবেলার অন্ধকারে প্রকৃতির কোলে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাককে সঙ্গী করে দু’-একদিনের ছুটি নিশ্চিন্তে কাটিয়ে ফেলতে পারবেন পশ্চিমবঙ্গের এই শেষ জনপদে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর