৫০ বছর ধরে জমা হওয়া সোনা হাসপাতাল বানানোর জন্য দান করবে শিখদের পবিত্র গুরুদ্বার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিশ্বের যেখানেই বিপদ চলে আসুক, শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ সবার আগে সাহায্য করার জন্য পৌঁছে যায়। ভারতে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার আম জনতা থেকে সরকার। হাসপাতালে বেডের জন্য হা-হুতাশ করতে হচ্ছে রোগীদের। প্রায় রাজ্যেই ওষুধের কালোবাজারি ব্যবসা রমরমিয়ে উঠেছে। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা এই কঠিন মুহূর্তে কোথাও অক্সিজেন লঙ্গর, আবার কোথাও বিনামূল্যে ওষুধ আর খাবার বিতরণ করছে। আর এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রের নান্দের-এর এক গুরুদ্বার বড় ঘোষণা করল। ‘তখত শ্রী হুজুর সাহিব” গুরুদ্বারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিগত ৫০ বছরে তাঁদের কাছে যেই সোনা দান হিসেবে জমা পড়েছে, তাঁরা সেটা সম্পূর্ণটাই খরচ করবে। তাঁরা সেই টাকা দিয়ে হাসপাতাল বানাবে।

গুরুদ্বারের সন্ত বাবা কুলবন্ত সিং বলেন, এখানকার বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য হায়দ্রাবাদ অথবা মুম্বাইয়ের মতো বড় শহরে যেতে হয়। আমরা যদি একটা হাসপাতাল বানিয়ে দিতে পারি, তাহলে কেউ আর বাইরে অথবা দূরে যাবে না। গ্রামবাসী থেকে শুরু করে সবাই এই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবেন।

কূলবন্ত সিং আরও বলেন, ‘আমরা বিগত ৫০ বছর ধরে যেই সোনা জমা করে রেখেছি, সেগুলো এখন আর জমা করে রাখব না। আমরা সেটা মানুষের সেবায় নিয়োজিত করব। ওই সোনার টাকায় হাসপাতাল, স্কুল গড়ব। এর আগে আমাদের জমা সোনা দিয়ে গুরুদ্বার বানানোর কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা হাসপাতাল বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। হাসপাতাল হলে অনেকের সুবিধা হবে।”

বলে দিই, হুজুর সাহেব গুরুদ্বার শিখদের পাচটি তখতের মধ্যে একটি। এই গুরুদ্বার ১৮৩২ থেকে ১৮৩৭ এর মধ্যে নির্মাণ হয়েছিল। গোদাবরী নদীর তীরে বসা শহর নান্দেরের এই গুরুদ্বার গোটা বিশ্বেই বিখ্যাত। গোটা বছরই দেশ-বিদেশ থেকে এখানে অনেক তীর্থযাত্রীরা আসেন। ১৭০৮ সনে গুরু গোবিন্দ সিং ধর্ম প্রচারের জন্য নিজের কয়েকজন শিশ্য নিয়ে এখানে ছিলেন।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর