বাংলা হান্ট ডেস্ক: কেএমডিএ-এর পক্ষ থেকে টালা ব্রিজ এর মডেল নিয়ে আসা হল কলকাতা পুরসভাতে। মূলত প্রস্তাবিত নতুন টালা ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি অসুবিধা রয়েছে। যেমন ব্রিজের নিচে চক্ররেল এর লাইন বরাবর রয়েছে বস্তি অঞ্চল। এছাড়াও সবথেকে অসুবিধার বিষয়টি হলো এশিয়ার বৃহত্তম ওভারহেড রিজার্ভার টালা ট্যাঙ্ক থেকে পানীয় জল সরবরাহের পাইপলাইন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। মডেল অনুযায়ী কাজ করলে কোনো অসুবিধা হবে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে টালা ব্রিজে। যার জেরে বিশাল ভোগান্তি ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। তাদের বেশিরভাগ জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ করে তালা ব্রিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, এই অচলাবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার বিভিন্ন তথ্যের কোনটাই তাদের কাছে পরিষ্কার ছিল না। কোন বাস কোন দিকে যাবে তাও জানতে পারছেন বলেই অভিযোগ যাত্রীদের। এখন যদি অবস্থা অনেকটা আয়ত্তে এসেছে।
যে রাস্তা আগে ৩০ মিনিটে পেরোনো যেত সেই রাস্তা বর্তমানে পার করতে সময় লাগছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। শুধু তাই নয় উল্টে টাকাও খরচ হচ্ছে আগের থেকে অনেক বেশি। এখনো ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন অনেকে। নিত্যযাত্রীরা দাবি জানিয়েছিলেন যে, ‘ব্রিজ বন্ধ থাকা কালীন সাটল বা অটো রুট চালু হোক’, তাতে এই পরিস্থিতির অন্তত খানিকটা শুরু খানিকটা শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা তথা কলেজছাত্র সায়ন কাঞ্জিলালের কথায় প্রতিদিন শ্যামবাজারের মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে পড়ি, “প্রতিদিন টালা ব্রিজ হয়েই কলেজে যতে হয়, এখন ব্রিজ বন্ধ হওয়ায় যে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা আর বলার মত নয়। কলেজে ক্লাস থাকে নির্দিষ্ট সময়ে, প্রতিদিনই কোন না কোন ক্লাস মিস হয়ে যাচ্ছে, কারণ যাওয়ার সময় এর কোন ঠিক নেই, কোনোদিন লাগছে এক ঘন্টা, কোনোদিন লাগছে দু’ঘণ্টা, কোনোদিন আবার আড়াই ঘন্টা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরিস্থিতির সুরাহা না হলে, আরো সমস্যার মুখে পড়তে হবে আমারই মতন বহু স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের”।
উল্লেখ্য, চিড়িয়ামোড় থেকে ঘুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাস। একদিকে দমদম রোড হয়ে, নাগের বাজার, বেলগাছিয়া হয়ে ফাইভ পয়েন্টে উঠছে বাস। অন্য়দিক শ্যামবাজার থেকে রাজবল্লভ পাড়া দিয়ে লকগেট হয়ে কাশিপুর দিয়ে ডানলপ যাচ্ছে বাস।