বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবসান হয়েছে অনেক প্রতীক্ষার। বৃহস্পতিবার বিকেলেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে টালা সেতুর (Tala Bridge)। কিন্তু আজও সেতুতে উঠতে দেওয়া হল না গাড়ি। পূর্ত দফতর জানাচ্ছে, আরও বেশ কয়েকদিন ভারবহন ক্ষমতা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। তারপর মহালয় থেকেই নতুন টালা সেতুতে গাড়ি উঠতে দেওয়া হবে।
প্রশ্ন উঠছে সমস্ত পরীক্ষা না করে কেন উদ্বোধন করা হল সেতু? জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে আগামী শনিবার বিকেলে টালা সেতুর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। সেই ভাবেই চলছিল প্রস্তুতি। কিন্তু উদ্বোধনের দিন এগিয়ে আসায় শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতিতে জোর দেওয়া হয়। তাই কয়েকটি পরীক্ষা পুরোপুরি শেষ করা সম্ভব হয়নি। গাড়ি চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়ার আগে সেই দরকারি পরীক্ষা করে নেওয়া হবে। সেই পরীক্ষার পর রবিবার থেকে টালা সেতুতে গাড়ি উঠতে দেওয়া হবে বলেই সূত্রে খবর।
5বৃহস্পতিবার বিকেলে টালা সেতুর (Tala Bridge) উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সেতু প্রায় ৭৪৪ মিটার লম্বা। যা নির্মাণে খরচ হয়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা। সেতুটি চারটি লেন আছে। দুটি ফ্ল্যাঙ্কে বিভক্ত নয়া টালা সেতু।
পূর্ত দফতর জানাচ্ছে, আপাতত ডানলপ থেকে শ্যামবাজারের দিকে আসার ফ্ল্যাঙ্ক দিয়ে দু’দিকেই গাড়ি চালানো হতে পারে। আবার প্রয়োজনে টালা সেতুর ওই ফ্ল্যাঙ্কটি একমুখীও রাখা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সেতুর লাগোয়া কোনও রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে চতুর্থী থেকে দুটি ফ্ল্যাঙ্কই খুলে দেওয়া হবে বলে পূর্ত দফতর জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ে। তারপরই কলকাতার সমস্ত সেতু পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পূর্ত দফতর। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় টালা সেতুর ভগ্ন দশা নজরে আসে সরকারের। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় টালা সেতু ভেঙে ফেলার। পরিকল্পনা মতো ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয়। সেই কাজ শেষ হয় এপ্রিল মাস নাগাদ। ওই বছরের অগস্ট থেকে টালা সেতু নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সেতুর উদ্বোধন করেন।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর দিয়ে ভেসে চলছে বিমান, তরুণীর ভিডিও দেখে হতবাক নেটমাধ্যম!