বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এককালে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট সার্কিটে সকলের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন নিজের পারফরম্যান্সের জেরে। কিন্তু গাজিয়াবাদের সেই ক্রিকেটার আজ ভুগছেন অর্থাভাবে। পেট চালানোর তাড়নায় রাজা বাবু একটি ই-রিকশা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন৷ অথচ প্রতিবন্ধী হলেও তার ক্রিকেট একসময় মন কেড়েছিল পরিচিতদের। একটা সময় ছিল যখন হুইলচেয়ারে বসেই মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো দুর্দান্ত ভঙ্গিতে হেলিকপ্টার শট মারতেন।
গাজিয়াবাদের এই প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার প্রথম পাদ-প্রদীপের আলোয় তখন এসেছিলেন যখন তিনি ২০১৭ সালে দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের ম্যাচে হুইলচেয়ারে বসে ২০ বলে ৬৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। এই বিশেষ ক্রিকেট ম্যাচটির নাম রাখা হয়েছিল ‘হাউসলন কি উড়ান’ অর্থাৎ “আশার উড়ান”। এই ম্যাচে রাজা বাবু উত্তরপ্রদেশকে জয় এনে দিয়েছিলেন। ওই ম্যাচে রাজা বাবু প্রতিবন্ধী ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত উত্তরপ্রদেশের ওই দলের নেতৃত্বের দায়িত্বে ছিলেন।
রাজার আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ওখানকার এক স্থানীয় ব্যবসায়ী। খুশি হয়ে তিনি তাকে একটি ই-রিকশাও উপহার দেন। খারাপ দিনে ক্রিকেট খেলে অর্জন করা ওই পুরস্কারই এখন রাজা বাবু ও তার পরিবারকে বাঁচিয়ে রেখেছে। উত্তরপ্রদেশে প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের জন্য দাতব্য সংস্থাটি উঠে যায় করোনার কারণে হওয়া লকডাউনে। তারপর থেকেই সমস্যায় পড়েছেন রাজা।
গাজিয়াবাদের এই প্রতিবন্ধী পরিবারের মতে তাকে তার পরিবারের পেট চালানোর জন্য এখন গাজিয়াবাদের রাস্তায় প্রথমে দুধ বিক্রি করা শুরু করতে হয়েছিল। তারপর তিনি পুরস্কারে পাওয়া ওই ই-রিকশা চালাতে শুরু করেন। পেশাদার ক্রিকেট খেলার সুযোগ হারিয়ে আর অন্য কোনওভাবে নয়তো বাড়ির খরচ চালাতে পারছিলেন না তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন ১৯৯৭ সালে যখন তার বয়সে মাত্র ৭ বছর, তখন ট্রেনের চাকার তলায় নিজের বাঁ-পা হারিয়েছিলেন তিনি।