বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় আফগানিস্তানে (afghanistan) দাপিয়ে বেরাচ্ছে তালিবানরা (taliban)। দেশটা কবজা করার পর এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য তালিবানদের। তবে ইতিমধ্যেই চীনকে (china) নিজেদের কাছের বন্ধু বলে মনে করে, ড্রাগনের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে দেশ চালানোর পরিকল্পনা করছে তালিবানরা। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের কথায়, চীনের আর্থিক সাহয্যের উপরই নির্ভরশীল তাঁর দল।
এক সংবাদ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে প্রায় ২০০ লক্ষ কোটি টাকার খনিজ সম্পদ রয়েছে, আর এই সম্পদের উপর রীতিমত শকুনের দৃষ্টি দিয়েছে ড্রাগন। সেইসঙ্গে আফগানিস্তানে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে যে বিমানঘাঁটি ব্যবহার করেছিল আমেরিকা, এখন সেই বাগ্রাম বিমানঘাঁটি দখলের চেষ্টায় রয়েছে জিনপিং-র দেশ।পাশাপাশি, তালিবানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে জিনজিয়াং প্রদেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করতে চায় চীন।
আবার মোল্লা আবদুল গনি বড়দারের সঙ্গে সাক্ষাতকালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছিলেন, চীনের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জজনক ETIM-র সঙ্গে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে তালিবানদের।
তালিবান সরকারের প্রতি চীনের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে প্রথম থেকেই। আর তালিবানরাও চীনকে নিজেদের বন্ধু বলেই মেনে নিয়েছে। তাই একদিকে যেমন তাঁরা চীনের থেকে আর্থিক সাহায্য আশা করছে, তেমনই তালিবানরা জানিয়েছে- উইঘুর মুসলমানদের কট্টরপন্থী শক্তির উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখবে তালিবানরা এবং আফগানিস্তানের মাটিতে চীনের বিরুদ্ধে কোন কাজ করতে দেবে না।
এবিষয়ে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘তালিবান এবং চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে, আমাদের তহবিলের প্রয়োজন। আমরা চীনের থেকে আর্থিক সাহায্য প্রার্থনা করছি। চীনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাঁরা আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করবে এবং আমাদের সাহায্য করবে’।