বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা আফগানিস্তান তালিবানের কবজাতে চলে এলেও কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন এখনো পর্যন্ত পঞ্জশির দখল করতে পারেনি। সেখানে তালিবানের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আহমেদ মাসুদের সেনা। আর রয়েছেন তালিবানের কার্যবাহ রাষ্ট্রপতি অমরুল্লাহ সালেহ। ইতিমধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০০-র বেশি তালিবানির মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তালিবান তা স্বীকার করেনি। আর এরই মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়ার সঙ্কেতও মিলেছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, নর্দান অ্যালায়েন্স আর তালিবানের মধ্যে পাওয়ার শেয়ারিং চুক্তি নিয়ে কথাবার্তা চলছে বলে জানা গিয়েছে। তালিবান একদিকে যখন গোটা আফগানিস্তানে শরিয়া আইন লাগু করার কথা বলছে, তখন নর্দান অ্যালায়েন্স এই শরিয়া আইনে লাগাম টেনে গণতন্ত্র কায়েম করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
পঞ্জশিরের শের বলে খ্যাত আহমেদ শাহ মাসুদের ভাই আহমেল ওয়ালি মাসুদ জানিয়েছেন, ‘আমরা চাই পঞ্জশিরে পাওয়ার শেয়ারিং চুক্তিতে সহমত হোক দুই পক্ষ। পাশাপাশি শরিয়া আইন শিথিল করে গণতন্ত্র আর সবাইকে সম্মান দিতে চাই আমরা।”
ওয়ালি মাসুদ জানিয়েছেন, আমরা চাই সবাই নিজের মন্তব্য পেশ করার অধিকার পাক। যদি তালিবান শরিয়া আইন লাগু করতে চায়, তাহলে করুক। কিন্তু সেটি যেন কারও উপর জোর করে চাপিয়ে না দেওয়া হয়।
বলে দিই, একদিকে আহমেদ ওয়ালি মাসুদ পাওয়ার শেয়ারিং-এর কথা বলেছেন, অন্যদিকে ওনার ভাইপো আহমদে মাসুদ তালিবানের বিরুদ্ধে মোর্চা খুলে বসে আছে। আহমেদ মাসুদ বিদ্রোহীদের নিয়ে আলিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আর পঞ্জশিরকে তাঁদের হাত থেকে রক্ষা করছে। যদিও, তিনিও তালিবানের সঙ্গে কথাবার্তার রাস্তাও খুলে রেখেছেন।
অন্যদিকে তালিবানও চায় পঞ্জশিরের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি। তাঁরাও মাসুদদের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যা সমাধানের বার্তা দিয়েছে। যদিও, দুই পক্ষই এই চুক্তিতে রাজি হবে কী না, সেটা বলা সম্ভব নয়।