বাংলা হাট ডেস্কঃ পাকিস্তান বারবার জানিয়ে এসেছে সন্ত্রাসবাদকে কোনোভাবেই আশ্রয় দেয় না তারা। কিন্তু এই কথা যে মেনে নেওয়া যায় না তা কার্যত আরেকবার প্রমাণ হয়ে গেল আজ। আগে থেকেই বারবার এ কথা উঠে আসছিল যে, আফগানিস্থানে তালিবানদের ক্ষমতা দখলের পিছনে প্রচ্ছন্ন মদত ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের। এমনকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি যেভাবে বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে তালিবান সরকারকে মান্যতা দেবার জন্য চেষ্টা করে চলেছেন তাতেও এই তত্ত্বই আরও জোরদার হয়।
আর এবার কার্যত তালিবান নিজের মুখেই স্বীকার করে নিল পাকিস্তান তাদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়। তালিবানি প্রবক্তা জাবিউল্লাহ মুজাহিদ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে বলেন, “পাকিস্তান কার্যত আমাদের দ্বিতীয় ঘর এবং আফগানিস্তানের মাটিতে এমন কোন কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না যা পাকিস্তানবিরোধী।” তবে একই সঙ্গে জাবিউল্লাহ এও বলেন, ভারতের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী তারা। কারণ ভারত এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন তাদের ইচ্ছা, আফগান জনগণের মতামত অনুযায়ী ভারত তার নীতি প্রণয়ন করুক।
পরোক্ষভাবে হলেও কাশ্মীর প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন তিনি। তিনি পরিষ্কার জানান, আফগানিস্তানের মাটিকে কোন দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। ভারত এবং পাকিস্তানের উচিত তাদের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা নিজেদের মধ্যেই সমাধান করা। তবে অনেকেরই বক্তব্য, তালিবান এখন মুখে যা বলছে কার্যক্ষেত্রে সেই নীতি কতটা অনুসরণ করা হয় সেটাই দেখার বিষয়।
প্রসঙ্গত ঐদিন আল-কায়েদা নিয়েও মুখ খুলতে দ্বিধা করেননি জাবিউল্লাহ। তার পরিষ্কার বার্তা ওসামা বিন লাদেন যে ৯/১১ হামলায় যুক্ত ছিল এমন কোন পাকাপোক্ত প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে তালিবানকে নিজেদের বন্ধু বলে চিহ্নিত করেছে আল-কায়েদাও। তালিবানের ক্ষমতা দখলের পরে তাদের তরফ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে আমেরিকার পরাজয় এবং আগের আফগান সরকার ছিল আমেরিকার সহযোগী। প্রসঙ্গত অনেক বিশ্লেষক কি মনে করছেন আগামী দিনে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলির আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে আফগানিস্তান।