বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়া থেকে শুরু করে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব শেষের পরও রাজনৈতিক হিংসার চিত্র সর্বত্র। উত্তর থেকে দক্ষিণ সব দিকেই একই ছবি। কোথাও পাতাকা টাঙানো, দেওয়াল লিখন, কোথাও আবার স্লোগান নিয়ে হাতাহাতিতে লিপ্ত হচ্ছে সবদলের কর্মী-সমর্থকরাই। তবে সোমবার রাতে সেই হিংসার প্রতিচ্ছবি চরম আকার ধারন করে। পুলিশের সামনেই তমলুকের (Tamluk) বিজেপি প্রার্থীকে (BJP Candidate) মারধরের অভিযোগ উঠল এবার তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে।
তমলুকের বিজেপি প্রার্থী ড. হরেকৃষ্ণ বেরাকে (Harekrishna Bera) বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাকে তৎক্ষণাৎ তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি এখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। হরেকৃষ্ণ বেরাকে দেখতে সকালেই হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখান থেকে তিনি প্রার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে পথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ প্রার্থী হরেকৃষ্ণ বেরা থানায় অভিযোগ জানাতে যান। তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে মারধর করে। যদিও তৃণমূলের তরফে পাল্টা অভিযোগ ‘সোমবার রাতে তাদের দলের এক কর্মীকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাই সেই অভিযোগ জানাতে থানায় যাচ্ছিল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পথেই দেখা হয় বিজেপি প্রাত্থি হরেকৃষ্ণ বেরা সঙ্গে। তখন সেখানে জনরোষের প্রতিফলন ঘটে। শাসকদলের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি সোমেন মিত্র (Somen Mitra) এ নিয়ে আরও বলেন যে, ‘প্রার্থীকে মারধরের ঘটনা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। আইন আইনের পথে চলবে। যারা অভিযুক্ত তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করবে পুলিশ’।
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাফ কথা, ‘প্রথম দফা ভোটের পরই তৃণমূল বুঝে গিয়েছে তাঁদের পরাজয় অবধারিত। তাই তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর করে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে চাইছে।’ ইতিমধ্যেই প্রাত্থিকে মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা আতেয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।