আত্মহত্যা নয়! ট্যাংরার মহিলাদের ঘুমন্ত অবস্থায় খুন? ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘ফাঁস’ হাড়হিম করা তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ট্যাংরার এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই মহিলা এবং এক নাবালিকার দেহ (Tangra Incident)। খাস কলকাতার (Kolkata) এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। এবার এই ঘটনায় তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ট্যাংরা কাণ্ডে (Tangra Incident) নয়া মোড়!

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই ভাই প্রণয় ও প্রসূন আগেই পুলিশকে (Police) জানিয়েছিলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমের ওষুধ খান পরিবারের সবাই। এরপর ১৮ তারিখ বাড়ির দুই মহিলা সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে-কে হাতের শিরা এবং গলা কেটে খুন করা হয়। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, নাবালককে হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁরা আত্মহত্যা করবেন।

এদিকে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সুদেষ্ণা এবং রোমিকে যখন খুন করা হয় সেই সময় তাঁরা ঘুমের ওষুধের প্রভাবে ঘুমন্ত কিংবা অবচেতন অবস্থায় ছিলেন। সেই কারণে এত সূক্ষ্ম এবং নিখুঁতভাবে তাঁদের হাতের শিরা এবং গলা কাটা সম্ভব হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে (Postmortem Report) পরিষ্কার, ট্যাংরার ওই বাড়ির দুই বৌকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। নাবালিকা প্রিয়ম্বদা দে-কেও ঠাণ্ডা মাথাতেই হত্যা করা হয়েছে। তিনজনকে খুনের পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান প্রণয়, প্রসূন এবং বড় ভাইয়ের ছেলে।

আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় খবর! কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল CBI! রয়েছে ‘এই’ ২জনেরও নাম

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দু’জন মহিলা এবং নাবালিকা- তিনজনকেই হত্যা করা হয়েছে (Tangra Incident)। এর মধ্যে সুদেষ্ণা এবং রোমিকে কার্যত একইভাবে খুন করা হয়েছে। দু’জনকেই হাতের শিরা এবং গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে বিষক্রিয়ার জেরে প্রাণহানি হয়েছে রোমির কন্যা প্রিয়ম্বদার।

Tangra incident

তদন্ত নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রথমে বাড়ির তিনজনকে ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস দেওয়া হয়। যাতে খুনের সময় কেউ প্রতিরোধ না করতে পারে। এই পায়েস খেয়েই প্রাণহানি হয় রোমির কন্যার। অন্যদিকে বাড়ির দুই বউ জ্ঞান হারালেও বেঁচে ছিলেন। সেই সময় তাঁদের খুন করা হয়।

এদিকে ট্যাংরা (Tangra Incident) নিবাসী দে পরিবারের দুই ভাইকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাজারে কয়েক কোটি টাকার ঋণ ছিল তাঁদের। সেগুলি পরিশোধ করার ক্ষমতা তাঁদের ছিল না। এমনকি ট্যাংরার ওই বাড়িটিও বন্ধক রাখা ছিল। মোট ৬টি ব্যাঙ্ক এবং একাধিক বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কার্যত গলা অবধি দেনায় ডুবে ছিলেন তাঁরা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর