বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নজরে ছিল। এছাড়াও বছরখানেক ধরে তাঁর ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের পর অর্থমন্ত্রকের নজরেও পড়ে গেছিল। বিদেশ থেকে আসা এই কোটি কোটি টাকার উৎস খোঁজার জন্য জলে নামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আর দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা গুলো। এরপরেই ধীরে ধীরে জাল গুটিয়ে এনে লস্কর-ই-তৈবার (lashkar e taiba) লিঙ্কম্যান সন্দেহে মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল বসিরহাটের তরুণী তানিয়া পারভিনকে (tania parvin)।
তানিয়া পারভিনকে কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বাদুরিয়ায় তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে। গোয়েন্দাদের দাবি অনুযায়ী, প্রায় দুই বছর ধরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-তৈবার সাথে যুক্ত সে। বাড়িতে বসেই ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়ায় তানিয়া। এমনকি এলাকার মুসলিমদের উস্কানি দিয়ে নিজের কার্যসিদ্ধি করত সে।
আরও পড়ুনঃ লস্করের সবথেকে বড় টেরর মডিউলের পর্দাফাঁস! ১০০ কোটির ড্রাগ সমেত গ্রেফতার তিন জঙ্গি
এমনকি জঙ্গি গতিবিধি চালাতে বেশ কয়েকবার দিল্লী, কাশ্মীর এবং মুম্বাইতেও গেছিল সে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের সাথে যোগাযোগ করে এবং সম্পূর্ণ ঘটনার তথ্য দেয়। টাস্ক ফোর্সের কাছে তথ্য আসার পরেই আজ সকালে গ্রেফতার করা হয়েছিল এই তরুণীকে।
আরও পড়ুনঃ লস্করের তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কাশ্মীর বড়সড় সফলতা অর্জন করল ভারতীয় সেনা
তানিয়া পারভিনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, ধর্মীয় উন্মাদনা এবং মুসলিম যুবকদের উস্কিয়ে কার্যসিদ্ধি করার অভিযোগ উঠেছে। এরপর তাঁকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। এবার তাঁকে দশ দিনের হেফাজতে নিলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, ওই তরুণীকে কাজে লাগিয়ে দেশে সেনাবাহিনীর গোপন খবর সংগ্রহ করত পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI । এমনকি তানিয়া নিজেও স্বীকার করছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে জওয়ানদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ সৃষ্টি করত পাকিস্তান। তবে সে সেই প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেনি বলেই তাঁর দাবি।