তপন কান্দু খুনের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের মামলায় পূর্বেই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তের ভার দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এবার এই খুনের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের আত্মহত্যা কাণ্ডেও তদন্তভার তাদের হাতেই তুলে দিল আদালত।

প্রসঙ্গত, তপন কান্দু নামের কংগ্রেস কাউন্সিলরকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে তাকে খুন করে কিছু দুষ্কৃতীর দল। ঘটনার সময় তার সঙ্গে নিরঞ্জন বৈষ্ণব নামের ব্যক্তিও উপস্থিত ছিলেন। ফলে তার সামনেই ঘটে পুরো ঘটনাটি আর এর ঠিক দেড় সপ্তাহের মাথায় নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় তার বাড়ি থেকে। সেই সঙ্গে মেলে একটিক সুইসাইড নোট যেখানে নিরঞ্জন লেখেন, তাকে কোনদিন থানার চৌখাট পেরোতে হয়নি, কিন্তু এখন তাকে রোজ পুলিশ চাপ দিয়ে যাচ্ছে থানায় যাওয়ার জন্য।

আর এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। এমনিতেই ঝালদার কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় শুরু থেকেই পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছিল নিহতের পরিবার। নিহতের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ এই খুনের পেছনে রয়েছেন। এরপর আদালতের তরফ থেকে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হলে থানার ওসিকে জেরা করে সিবিআই। এছাড়াও থানার এসডিপিওকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বর্তমানে ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনের মৃত্যুর পরও সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতের কাছে যান তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। পূর্ণিমার হয়ে বিচারপতির কাছে মামলা রুজু করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী এবং প্রীতি কর। আর এ দিন সেই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দেন যে, নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুর কেস ডায়েরিও যেন খুব দ্রুত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মামলার রায়ের পর আইনজীবী প্রীতি কর জানান, “আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম যে এই খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর মৃত্যুর স্বাভাবিকভাবে হয়নি। ফলে সেই তদন্ত রাজ্য পুলিশের হাতে থাকলে তপন কান্দু মামলার তদন্ত ধাক্কা খাবে। তাই আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।” ফলে বর্তমানে তপন কান্দু মামলার সঙ্গে নিরঞ্জন আত্মহত্যার মামলাটিও পৌঁছে গেল সিবিআইয়ের হাতে। এবার সিবিআই এই দুই খুনের কোনো কিনারা করতে পারে কিনা, সেদিকে তাকিয়ে আক্রান্ত পরিবার।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর