বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনার (corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে টালমাটাল অবস্থা গোটা দেশে। হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত বেড। অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন একের পর এক করোনা রোগী। মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে দেশে। রাজ্যের অবস্থাও খুব একটা সুখকর নয়।
মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিতেও। প্রায়দিনই কোনো না কোনো টলি বা টেলি তারকার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। করোনার কবলে প্রয়াত অভিনেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের (tapas paul) স্ত্রী নন্দিনী পালও (nandini paul)। যথেষ্ট সঙ্কট জনক অবস্থা তাঁর।
জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘রান্নাঘর’ এর সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই খবর। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেল মারফত এই খবর প্রকাশ্যে এনেছেন সুদীপা। তাপস ও নন্দিনীর একমাত্র মেয়ে সোহিনী যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন মাকে সুস্থ করে তুলতে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাশে দাঁড়িয়েছেন এই পরিবারের।
সুদীপা লিখেছেন, ‘স্বর্গীয় শ্রী তাপস পালের স্ত্রী-নন্দিনী পাল,কোভিডে আক্রান্ত,খুবই সঙ্কজনক,ও চিকিৎসাধীন। তাঁর অসহায় একমাত্র মেয়ে সোহিনী পাল,ও আমাদের পরিবারের পাশে সত্যিকারের ‘দিদি’র মতো দাঁড়িয়েছেন- কেবলমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে তাঁকে ছোট করার ধৃষ্ঠতা আমার নেই। শুধু এইটুকু বলবো- করুনাময় ঈশ্বর তাঁর মঙ্গল করুন। তাঁর সুস্হ,দীর্ঘজীবন কামনা করি। সকলের কাছে করজোড়ে অনুরোধ- এটি কোনো রাজনৈতিক পোস্ট নয়। দয়াকরে সেটা বুঝে মন্তব্য করুন।’
সুদীপার এই পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নেটিজেনরা। তাদের বক্তব্য, সুদীপা লিখেছেন এটি কোনো রাজনৈতিক পোস্ট নয়। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক ট্যাগ ব্যবহার করেছেন। সাহায্যটা সাহায্যই। তাতে রাজনৈতিক রঙ না লাগানোরই পরামর্শ সুদীপাকে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
আবার একজন লিখেছেন, করোনায় প্রতিদিন এত মানুষ মারা যাচ্ছে। তাদের সবার পাশে তো দাঁড়াননি মুখ্যমন্ত্রী। আবার আরেকজন লিখেছেন, তাপস পাল তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ছিলেন। তাই দল তো তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াবেই। তবে সকলেই নন্দিনী পালের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন তাপস পাল। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। গত বছর ১ লা ফেব্রুয়ারি মেয়ের কাছে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছান তাপস পাল। আচমকাই শরীর খারাপ লাগায় তড়িঘড়ি তাকে ভর্তি করা হয় মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। প্রায় দু সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন তাপস পাল। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।